দেশে আজকের দিনের ইসলামি জীবন ব্যবস্থা আর হাজার বছর পূর্বের জীবন ব্যবস্থা এক ছিল না। অনেক চ্যালেঞ্জ ও ত্যাগের বিনিময় এ দেশে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
যেসব সুফী ও সাধক আমাদের ভূখন্ডে ইসলাম প্রচার করতে আসেন, তাদের মধ্যে অনেকেই বাংলার মাটিতে শায়িত আছেন। হয়রত শাহ জালাল, শাহ পরাণ, হযরত শাহ আলী ও ইখতেয়ার উদ্দিন মুহাম্মাদ বিন বখতিয়ার খিলজি তাদের মধ্যে উল্লেখ্য যোগ্য।
দুখের বিষয়, আমরা আজ তাদের ইতিহাস মুছে নতুন ইতিহাস তৈরি করতে যাচ্ছি। বেশ কিছু মহল সুফি-সাধকদের মাজার নিয়ে মানুষের মাঝে বিব্রান্তি ছড়াচ্ছে।
প্রকৃত পক্ষে মাজারে সবাই গিয়ে গাজা সেবন করে না, মদ খায় না। আর যারা এসব করে-তারা মাজারেও করে, বাসা এবং রাস্তাঘাটেও করে। মূলত এ ধরনের লোকজন মাজারের পবিত্রতা সম্পর্কে একেবারেই অজ্ঞ।
সুতরাং তাদের দোহাই দিয়ে একটি ধর্মীয় ঐতিহ্যপূর্ণ স্থানকে অসম্মান করা চরম মূর্খতা ও বোকামি।
মাজারে গিয়ে মাজারের সামনে সিজদা করতে হবে, এমন লেখা কোথাও নেই। এমন বিধানও নেই। যারা বুঝে না তারা এসব করে। কিন্তু যারা বুঝে তারা ইসলামি বিধান মোতাবেক মাজার জিয়ারত করেন। এখান অজ্ঞ লোকদের জন্য আপনি মাজারে যাবেন না এটা আপনার মূর্খতা ও গোড়ামি।
ইসলামে মাজারের অনেক গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। এখান থেকে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য অনেক কিছু শেখার ও জানার আছে৷
সর্বপরি মাজার ইসলামি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তাই মাজারের পবিত্রতা রক্ষা করতে হবে। মাজার নিয়ে চক্রান্তকারীদের যাবতীয় মিথ্যা ও ভিত্তিহীন প্রচার প্রচারণা আইনগত ভাবে দমন করা আবশ্যক।
পাশাপাশি মাজার জিয়ারতের নিয়ম কানুন সম্পর্কে জিয়ারতকারীদের ধারণা দিতে হবে।
-ইমরুল কায়েস
কামিল(মাস্টার্স), আল হাদিস,
তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা, টঙ্গী ক্যাম্পাস।