বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালগুলো নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। এসব বিতর্কের ফলে দিন দিন জনমনে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো।
ফ্রন্টলাইনে থাকে বর্বর হত্যাকান্ড। যেমন- বুয়েটে আবরার হত্যা , ইদানীং ঢাবিতে মোফাজ্জেল নামক এক যুবক কে বর্বর হত্যা।
প্রশ্ন থাকে, এসব হত্যাকান্ডগুলো কারা দ্বারা সংগঠিত হয়?
আসলে তারা কোন বহিরাগত সন্ত্রসী নয়, তারা ছাত্র নামের পেশাদার সন্ত্রাস বা ক্যাডার বাহিনী। যারা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ছত্র-ছায়ায় হলে অবস্থান করে থাকে। দলীয় ক্যাডার বা সন্ত্রাসী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
তাদেরকে পড়াশুনা করতে দেখা যায় না। আবার পরীক্ষায় তেমন একটা পাশও করে না এসব সন্ত্রসীরা। কৌশল হচ্ছে- পাশ করলে আর হলে থাকা যাবে না। তাই তারা ইচ্ছাকৃত ভাবে পরীক্ষায় ফেল করে ছাত্রত্ব ধরে রাখে।
তাদের কাছে থাকে আধুনিক অস্ত্র সরঞ্জামাদি ও মাদক। আমরা যেমনটা দেখি- বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসন কর্তৃক হলগুলোর তল্লাশীতে নানা ধরণের অস্ত্র ও মাদক প্রায়ই উদ্ধার করা হয়।
এভাবে একটি সিকিউরড জায়গায় কিভাবে অস্ত্র ও মাদক থাকে? এমনটা প্রশ্ন জনমনে।
মূলত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষক কোন না কোন রাজনৈতিক দলের সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে যুক্ত থাকেন। শিক্ষকদের মাঝেও থাকে দলীয়করণ নিয়ে গ্রুপিং ও নানা কোন্দল।
আবার এসব শিক্ষকদের ছত্রছায়ায় থাকে সন্ত্রসী শিক্ষার্থীরা। তাদের কাজ হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ দলের সন্ত্রাসী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আবার সন্ত্রাসী ছাত্র ও শিক্ষকদের লিড দিয়ে থাকেন একজন বহিরাগত রাজনৈতিক প্রভাবশালী নেতা।
এটাই হচ্ছে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সন্ত্রাসী চক্র।
এ চক্রের ভয়ে ইচ্ছে ও স্বপ্ন থাকা স্বত্বেও অনেক অবিভাবক সন্তানকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করানোর সাহস পান না। বিকল্প হিসেবে সন্তানের জন্য প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সিলেক্ট করেন অবিভাবকরা।
যেহেতু রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতায় এসব সন্ত্রাসী চক্র গড়ে ওঠে, তাই আদর্শ রাজনৈতিক পরিবেশ ব্যতীত এসব সন্ত্রসী চক্র নির্মুল অসম্ভব।