ঢাকা১১ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

বন্যা পরবর্তী সময়ে যে কাজগুলো অবশ্যই করণীয়-

বার্তা বিভাগ
আগস্ট ২৫, ২০২৪ ১১:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বাংলাদেশ’র  দক্ষিণ পূর্বাঞ্চলে  চলতি আগস্ট মাসের বন্যার ভয়াবহতা দেখা যায় ফেনী, ছাগলনাইয়া, পশুরাম চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও মিরসরাই এলাকায়। এ ভয়াবহ বন্যায় আক্রান্ত মানুষের জন্য বন্যা পরবর্তী কিছু গুরুত্বপূর্ণ ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

বন্যায় ময়লা-আবর্জনা, মানুষ ও পশুপাখির মলমূত্র-পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা একাকার হয়ে যায়। এসব উৎস থেকে জীবাণু বন্যার পানিতে মিশে চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এজন্য বন্যায় সংক্রামক ব্যাধির বিস্তার বেড়ে যায়।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সাধারণত বন্যা ও বন্যা-পরবর্তী সময়ে নানা রোগ দেখা যায়। এর মধ্যে পানি ও কীটপতঙ্গবাহিত রোগের সংখ্যা বেশি। বড়দের চেয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যের অবস্থার বেশি অবনতি ঘটে এ সময়। বাড়ে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, চর্মরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
বন্যাকবলিত এলাকাগুলোতে সাধারণত বন্যা ও বন্যা-পরবর্তী সময়ে নানা রোগ দেখা যায়। এর মধ্যে পানি ও কীটপতঙ্গবাহিত রোগের সংখ্যা বেশি। বড়দের চেয়ে শিশুদের স্বাস্থ্যের অবস্থার বেশি অবনতি ঘটে এ সময়। বাড়ে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, চর্মরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।

বন্যা পরবর্তী করণীয়:
১) তিন বছরের উপরের শিশু থেকে সকলকে কৃমি নাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে। কৃমিনাশক ওষুধ নিয়মিতভাবে ৪-৬ মাস অন্তর খাওয়াতে হবে।
২)বন্যার ভয়াবহতার কারণে মানুষের ভিতর সাইকোলজিক্যাল সমস্যা দেখা দিতে পারে সেক্ষেত্রে পরিবার ও আশেপাশে পারিপার্শ্বিক সকলকে সহমর্মিতা দেখাতে হবে।
৩)এ সময় পানি বাহিত ও বায়ু বাহিত বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। যেমন : ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, চর্মরোগসহ নানা ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি।
সেক্ষেত্রে  খাবার স্যালাইন ও চর্মরোগ প্রতিরোধক ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

দু’বছরের কম বয়সী শিশুকে প্রতিবার পাতলা পায়খানার পর ১০-১২ চা চামচ খাবার স্যালাইন দিতে হবে, ২-১০ বছরের শিশুকে দিতে হবে ২০-৪০ চা চামচ। ১০ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে একটু বেশি দেওয়া হয়। খাবার স্যালাইন বা ওআরএস না থাকলে বিকল্প হিসেবে বাড়িতে প্রস্তুতকৃত লবণ-গুড়ের শরবত খাওয়াতে হবে।বুকের দুধ খাওয়া বন্ধ করা যাবে না।
৪) এই সময় পানি বাহিত রোগ হতে পারে সেক্ষেত্রে পানি ফুটিয়ে, ফিটকিরি ব্যবহার করে খেতে হবে।
একই সঙ্গে পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলেট, শিশুদের জন্য পুষ্টিকর শুকনো খাবার, ওরস্যালাইন ইত্যাদি উপাদানের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।
৫) ঘর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে ডেটল, সেভলন দিয়ে ঘর পরিষ্কার করতে হবে।
গৃহ পালিত পশু ও হাস – মুরগির ক্ষত্রে করণিয় :

৬)গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগিকে যথাসম্ভব উঁচু ও শুকনা জায়গায় এবং সম্ভব হলে মাচা বা বেড়া দিয়ে নিরাপদে রাখা এবং

৭)প্রয়োজনে ত্রিপল ব্যবহার করে অস্থায়ী তাবু বা শেড নির্মাণ করে রোদ-বৃষ্টি থেকে রক্ষা করার পরামর্শ প্রদান করতে হবে।
৮)গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জরুরী পশুখাদ্য ও বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে
৯)অসুস্থ গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির জরুরী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে। ৪. বন্যা কালিন গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগির বাসস্থান নিয়মিত পরিস্কার ও জীবানুমুক্ত রাখার পরামর্শ প্রদান করতে হবে।
৯)মৃত গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগি সমূহকে মাটির নীচে পুতে ফেলার জন্য খামারিদের পরামর্শ প্রদান করতে হবে।১০)গো-খাদ্য সংকট নিরসনের লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধনপূর্বক গবাদি পশুর জন্য ত্রাণ ফান্ড থেকে পশুখাদ্য
ক্রয় ও বিতরনের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
১১)বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে গবাদি পশু ও হাঁস-মুরগিকে কৃমি মুক্ত ও প্রতিষেধক টিকা প্রদানের ব্যবস্থ গ্রহণ করতে হবে।-ড.নাছিমা ইসলাম চৌধুরী বৃষ্টি

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। যোগাযোগ: হটলাইন: +8801602122404 ,  +8801746765793 (Whatsapp), ই-মেইল: [email protected]