কথায় আছে যেমন বীজ তেমন ফল। সব কিছুই তার মূল থেকে গড়ে ওঠে। একটি দেশের রাজনীতি কেমন হবে, তা নির্ভর করে সে দেশের নাগরিকদের উপর। নাগরিকরা সভ্য ও দায়ীত্বশীল হলে একটি আদর্শ রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে উঠে। তেমনি একটি দেশের জনগন দুর্নীতিগ্রস্ত হলে সংঘাতপূর্ণ রাজনীতি গড়ে উঠে।
সুতরাং কোন দল বা দলীয় প্রধানকে দোষারোপ করা অযোক্তিক।
বাংলাদেশসহ অনুন্নত রাজনীতি চর্চার দেশগুলোতে মূলত কর্মীরা নিজেকে দলের কাছে বিক্রি করে দেয়। আবার দল কর্মীদেরকে নিজ অস্তিত্ব রক্ষায় কিনে নেয়। এখানে দল ও নেতা/কর্মীদের মাঝে সম্পর্ক হলো ক্রেতা-বিক্রেতা। আর ক্রয় বিক্রয়ের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অথ ও অবৈধ ক্ষমতা।
লক্ষ্য করা যায়, দলীয় নেতা কর্মীদের শতকরা ৯৯% দল ত্যাগ বা পরিবর্তন করেন না। যদিও উক্ত দলের বিরোদ্ধে প্রত্যক্ষ নানা দুর্নীতির অভিযোগ থাকে। সব কিছু জানা শুনা সত্বেও তারা সে দলটিকে ত্যাগ বা পরিবর্তন করেন না। অর্থাৎ দলের কাছে তারা বিক্রি হয়ে গেছে। আর একটি দেশে রাজনৈতিক সংঘাতের পেছনে এটাই হচ্ছে মূল কারণ।
যে কোন স্বৈরাচার বা দুনীতিগ্রস্ত রাজনৈতিক দলকে যদি জনগন প্রত্যাখ্যান করে, সে দেশে স্বৈরাচারি বা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার গড়ে উঠতে পারে না। সুতরাং কোন স্বৈরাচারি সরকারের স্বৈরাচার বা দুর্নীতির পেছনে প্রধান নিয়ামক বা সহযোগী উক্ত দেশের জনসমষ্টির একটি বৃহৎ অংশ। যাদের স্বৈরাচারি জনগনও বলা যায়।
তবে অনুন্নত দেশের শতকরা ৯০% জনগন কোন না কোন স্বৈরাচারি সরকারের হাতিয়ার। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, এখানকার জনগনও অনুরূপ।
পরিশেষে আমরা বলতে পারি, সুন্দর ও সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ বা চর্চার জন্য আদর্শ নাগরিক দরকার।