জাবি প্রতিনিধি
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের গণজোয়ার ঘটেছে। গণমিছিলে প্রায় পাঁচ হাজার ছাত্র-জনতা অংশগ্রহণ করেন।
রবিবার (৪ আগস্ট) সকাল এগারোটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে থাকেন। এসময় সাভার-আশুলিয়ার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবং সাধারণ জনগণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে গণমিছিলে যোগদান করেন।
বিক্ষোভ মিছিলে শিক্ষার্থীদেরকে ‘এক দুই তিন চার, শেখ হাসিনা গদি ছাড়’, ‘দফা এক দাবি এক, হাসিনার পদত্যাগ’, ‘শেখ হাসিনার গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ছাত্রলীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এসময় তারা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সারা দেশে আজ আমার ভাইদের রক্ত ঝরছে। শত শত শিক্ষার্থী শহিদ হয়েছে। এই সরকার এ বিষয়ে কোনো ব্যাবস্থা নেয় নাই। এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কোনো যোগ্যতা নেই। আমরা অবিলম্বে এই সরকারের পদত্যাগ চাই। তারা আরও দাবি করেন, সরকারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবেন তারা। এসময় ঢাকামুখী পদযাত্রার ঘোষণাও দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক আহসান লাবিব বলেন, এক দফা দাবিতে রাস্তায় নেমেছি। স্বৈরাচার পতন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবো না। গনভবন জনগনের ভবন, সেখানে স্বৈরাচারির অবস্থান সেখানে হবে না। আমরা জনগনকে মুক্তি দিতে নতুন মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছি। জনগনকে রাস্তায় নামার অনুরোধ জানাচ্ছি।
জাবি শাখার অন্যতম সমন্বয়ক তৌহিদ মোহাম্মদ সিয়াম বলেন, জাহাঙ্গীরনগরে আজকে অন্তত ২০ হাজার লোকের সমাগম হয়েছে। সবার চোখে মুখে মুক্তির ছাপ লক্ষ করছি৷ ছাত্র-জনতার বিজয় সুনিশ্চিত।
এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসমূহ খুলে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গতকাল ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে শিক্ষার্থীরা৷ সময় পার হলের প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত না নেয়ায় ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন।
গত শনিবার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে অসহযোগ আন্দোলন এবং এক দফা আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হয়।