আনোয়ার হোসেন,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধায় বেশ কয়েকদিনের প্রচন্ড তাপদাহে জনজীবন বিপর্যস্থ ও দুর্বিসহ হয়ে ওঠেছে। তীব্র গরমে পুড়ছে জনপদ, মাঠ-ঘাট ও শষ্যের ক্ষেত।
কোথাও স্বস্তির বাতাস নেই। সর্বত্র গরম আর গরম, কখনও প্রচন্ড, আবার কখনও ভ্যাপসা গরম। বৈশাখী তান্ডব চলছে জনপদে, সূর্যের প্রখরতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুপুর হতে না হতেই সড়ক বাজার লোক শুন্য হচ্ছে। একটু প্রশান্তির জন্য গাছতলায় ঠাঁই নিচ্ছে মানুষ। অসহনীয় তাপ, রৌদ্রযন্ত্রনা সব কিছু মিলে জনজীবনকে বিপর্যয়ের মুখে নিক্ষিপ্ত করছে। ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির, বীজতলা শুকিয়ে যাচ্ছে। এই তীব্র গরম থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় ইস্তিসকার নামাজ আদায় করলেন গাইবান্ধায় স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে
গাইবান্ধা সম্মিলিত ওলামা মাশায়েখ পরিষদ এর আয়োজনে শহরের ইসলামিয়া হাই স্কুল মাঠে ঘন্টাব্যাপী এ ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বিভিন্ন স্থান হতে নামাজের নির্ধারিত সময়ের আগেই ইসলামিয়া হাই স্কুল মাঠে অবস্থান করেন। নামাজ শেষে সকলেই মহান আল্লাহ পাকের দরবারে ক্ষমা চেয়ে তীব্র গরম থেকে রক্ষা পেতে বৃষ্টির প্রার্থনায় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
নামাজে ইমামতি করেন, গাইবান্ধা রেলওয়ে স্টেশন জামে মসজিদ এর পেশ ইমাম হযরত মাওলানা মুফতি মোঃ আব্দুল আউয়াল।
নামাজ শেষে ইমাম মোঃ আব্দুল আউয়াল বলেন, অনাবৃষ্টি ও অতি তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। এ অবস্থায় আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আমরা নিরুপায়। তাই এ দাবদাহ থেকে মুক্তি পেতে বৃষ্টি লাভের আশায় আকাশের নিচে এই স্কুল মাঠে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করা হয়েছে। নামাজ শেষে আমরা মহান আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিনের দরবারে মাফ চেয়ে কান্নাকাটি করেছি।
নামাজে অংশ নেয়া মুসল্লিরা বলেন, বৃষ্টিপাত না হলে আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স.) সাহাবীদের নিয়ে খোলা ময়দানে ইস্তিসকার নামাজ আদায় করতেন। সেজন্য মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে আমাদের পাপের জন্য তওবা এবং ক্ষমা চেয়ে দুই রাকাত নামাজ আদায় করে বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছেন। বৃষ্টি বা পানির জন্য আল্লাহ সালাতের মাধ্যমে চাইতে বলেছেন। আল্লাহর কাছে চাওয়া সুন্নত। তাই আমরা সবাই একত্র হয়ে এ নামাজ আদায় করেছি