তিমির বনিক,মৌলভীবাজার:
মৌলভীবাজারের জেলার জুড়ী উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্বে অবহেলার খবর পাওয়া গেছে। যার ফলে, অত্রাঞ্চলের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা শিক্ষা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম হলো উপজেলার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপস কান্তি রায়। দক্ষিণ সাগরনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
জানা গেছে, জুড়ী উপজেলা ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে মোট ৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতোকটিতে ১জন করে প্রধান শিক্ষক এবং একাধিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগ দেওয়ার পর সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ হতে তাদের আগমন সকাল ৯টায় এবং প্রস্থান বিকেল শোয়া ৪টার সময় বেঁধে দেয়া হয়েছে। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট হতে সময় নির্ধারণ করলেও ওইসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরীরত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকদের অনেকেই কতৃপক্ষের নির্দেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নিজেদের ইচ্ছামত বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করেন।
সম্প্রতি সরেজমিনে ওই সব প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, ২টি বিদ্যালয় যথাক্রমে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কান্তি রায় সকাল ১০টা ৮মিনিটে আগমন করেন, সহকারী শিক্ষক নাজমুন নাহার খানম ১০টা ৫মিনিটে, সহকারী শিক্ষক হারুনুর রশীদ ৯টা ৫৫মিনিটে, সহকারী শিক্ষক বীনা রাণী মাহাত্ম্য সকাল ৯টা ৪৮মিনিটে আগমন করেন। দক্ষিণ সাগরনাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নয়ন মণি সিংহকে বিকেল ২টায় গিয়ে পাওয়া যায়নি। ওইসব এলাকায় গিয়ে শিক্ষার্থীদের অবিভাবকদের সাথে কথা হলে ভুক্তভোগীরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া করার জন্য প্রাথমিক বিদ্যালয় বানিয়ে দিয়েছেন। শিক্ষক ও দিয়েছেন। কিন্তু শিক্ষকরা সময়মতো আসে না।
এজন্য আমাদের ছেলে মেয়েসহ আমরা স্কুলের গেইটের সম্মুখে তালা খুলার অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকি। আমরা ওই শিক্ষকদের বিচার চাই।
আমাদের দাবি সরকারের নিয়ম অনুযায়ী বিদ্যালয়টি খোলা হোক এবং বন্ধ হোক। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তাপস কান্তি রায় সাংবাদিকদের সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, জুড়ী উপজেলা শিক্ষা অফিসার দিলীপময় দাশ চৌধুরী বলেন, আগমন ও প্রস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত করনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশ্বস্ত করেন।