নাসিরা সুলতানা,( আদমদীঘি –বগুড়া) প্রতিনিধি ঃ বগুড়ার আদমদীঘিতে প্রচন্ড শৈতপ্রবাহ ও শীতের তীব্রতায় উপজেলার জনজীবন বির্পযস্ত। ঘনকুয়াশায় মানুষের চলাচলে ঘটছে বিঘ্ন। যানবাহনগুলি হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে। প্রচন্ড শীতের কারণে উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের সকল স্কুল বন্ধ করা হযেছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসের সময় আগিয়ে সকল ১০ টায় করা হয়েছে। প্রচন্ড কুয়াশায় সান্তাহার জংসন স্টেশন থেকে প্রায় সকল আন্তঃনগর ট্রেন অনেক বিলম্বে চলাচল করছে। প্রচন্ড শীতে শিশু ও বৃদ্ধরা নানা শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি কমে গেছে। ঘনকুয়াশায় উপজেলার কৃষকের বীজতলা ও সরিষা ক্ষেতের ক্ষতি হচ্ছে। হাসপাতালগুলিতে ডায়ারিয়া,পাতলা পায়খানাসহ শীতজনিত রোগির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উপজেলা
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। সান্তাহার জংসন স্টেশন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় সকল আন্তঃনগর ট্রেন অনেক বিলস্বে সান্তাহার স্টেশন থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। গত সপ্তাহের শুক্রবার সকল ৯-২০ এর আন্তঃনগর চিলাহাটি ট্রেন বিকেল ছেড়েছে ৪-৩০ মিনিটে অথাৎ ৭ ঘন্ট বিলস্বে গেছে । যাত্রীরা প্রচন্ড দুর্ভ্যেগে পড়েছে। প্রচন্ড শীতে একজন ভাসমান যাত্রী সান্তাহার স্টেশনে মৃত্যুবরণ করেছেন। সান্তাহার স্টেশনে অনেক
ছিন্নমুল মানুষ খুবই শীতের মধ্যে রাত্রীযাপন করছে। যদিও বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন এই সকল ছিন্নমুল মানুষদের জন্য কম্বল বিতরণ করেছেন। সান্তাহার মেডিকেয়ার সেন্টারের পরিচালক ডাঃ হামিদুর রহমান রানা জানান, আমরা বেশির ভাগ শীতজনিত রোগী পাচ্ছি। এই সময়ে বৃদ্ধ ও শিশুদের বাড়তি সর্তকর্তা নিতে
হবে। আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ রুমানা আফরোজ জানান, সরকারি সাহায্য হিসেবে আমরা এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০০ হাজার শীতের কম্বল শীতার্ত মানুষের মাঝে বিতরণ করেছি। আরো বরাদ্দ আসলে আবার বিতরণ করা হবে।