তাপস মজুমদার,(স্টাফ রিপোর্টার)সাতক্ষীরা:
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সাতক্ষীরা ৩ আশাশুনি, দেবহাটা ও কালীগঞ্জ আংশিক আসনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার মাঝি সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা: আ ফ ম রুহুল হকের নির্বাচনী জনসভা উপলক্ষে (৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩টায় নলতা কলেজ মাঠে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আনিসুজ্জামান খোকনের সভাপতিত্বে ও কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও তারলী ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোটর সঞ্চালনায় বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ডা: আ ফ ম রুহুল হক, তিনি বলেন গত ১৫ টি বছর জনগণের সেবা দিয়ে ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছি, আজ নলতা রেসিডেন্সিয়াল কলেজ মাঠে বিপুল জনগণের উপস্থিতিতে আমি ভালোবাসায় সিক্ত হলাম।
তিনি আরো বলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে দেশের উন্নয়ন হতো না তিনি বলেন শেখ হাসিনার পদ্মা সেতু মেট্রোরেল বিদ্যুৎ উন্নয়ন বছরের প্রথমে শিক্ষার্থীদের হাতে বই বিতরণ সহ উন্নয়নের কথা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি বলেন সাতক্ষীরায় মেডিকেল করেছি এছাড়া এলাকায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতে সাতক্ষীরায় রেল লাইন, সুন্দরবন পর্যন্ত ফোর লাইন সড়ক, অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় সহ উন্নয়নের জন্য কাজ করব। তিনি বলেন ৭ জানুয়ারি নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে তাকে আবারো রাষ্ট্র ক্ষমতায় আনার আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা ও নৌকা উন্নয়নের প্রতীক। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, ডাক্তার তারেক মেহেদী, প্রার্থীর জামাতা ডাক্তার কামরুজ্জামান, দেবহাটা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি ,কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, আশাশুনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম পিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক শম্ভুনাথ, প্রার্থীর জামাতা ডাক্তার কামরুজ্জামান, ডাক্তার মেহজাবিন, ছেলে ইঞ্জিনিয়ার জিয়াউল রহমান সুমন প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে সাতক্ষীরা ৩ আসনের নির্বাচনী এলাকার চেয়ারম্যান, উপজেলা ও ইউনিয়ন লীগের নেতৃবৃন্দ সহ সাধারণ জনগণ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা ৭ জানুয়ারি ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদান করে নাগরিক অধিকার আদায়ের দাবি জানান।