সকল সৃষ্টি স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চায়। স্বাধীনতা ও স্বার্বভৌমত্ব ছাড়া কোন জাতি জীবনযাপন করতে পারে না। বর্তমান সময়ের আলোচিত ফিলিস্তিন , যারা স্বাধীনতার জন্য একের পর মৃত্যুর মূখে ঝাঁপিয়ে পড়ছে। হাসি মুখে তাঁজা রক্ত বিলিয়ে দিচ্ছে তারা। এভাবে অনেক জাতি রয়েছে; যারা আজও স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে।
৭১ পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ঘটনাবলি পর্যালোচনা করলে এটাই প্রমাণিত হয় যে, স্বাধীনতার পূর্বে বাঙালি জাতি ছিল অস্তিত্বহীন, শোষিত , বঞ্চিত ও অবহেলিত। অবশেষে সর্বকালে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছিল।
স্বাধীনতার জন্য হাসি মুখে প্রাণ ও তাজা রক্ত বিলিয়ে দিয়েছিল বাঙলার সাত বীরশ্রেষ্ঠ, বুদ্ধিজীবী ও সূর্য সন্তানরা। প্রিয়জন হারানো সহ অনেক অশ্রুসিক্ত স্মৃতি আজও শ্রদ্ধার সাথে অমর হয়ে আছে।
সবকিছু মিলে স্বাধীনতা ছিল বাঙালি জাতির অপরিবর্তনীয় শক্তি; বুক ভরা প্রেরণা ও অহংকারের উৎস।
যদিও আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে আমেরিকা সরাসরি বিরোধিতা করেছিল, পাকিস্তানের পক্ষে রণতরী ভাসিয়েছিল। তবে রাশিয়ার সমর্থন ও সহযোগিতায় আমাদের স্বাধীনতাকে আর কেঁড়ে নিতে পারে নি।
এ কঠিন পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সর্বদা পাশে ছিল বন্ধুরাষ্ট্র ভারত। বাঙলার স্বাধীনতার জন্য প্রকাশ্য সহযোগিতা ও যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছিল এ বন্ধু প্রতিবেশী। সে দিক থেকে ভারতের সহযোগিতা বাঙালিকে মাথা নত করে স্বরণ করা উচিত।
যদিও স্বাধীনতাকে কেন্দ্র করে কিছু ব্যক্তি বা পরিবার অতীত ও বর্তমানে দেশে সাম্রাজ্য বিস্তারে মরিয়া হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষের রক্ত চুষে বিদেশে বাড়ি গাড়ি করে বিলাশ জীবনযাপন করছেন। প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই যখন স্বীকৃতির বাইরে, ঠিক এ পরিস্থিতিতে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধাদের দৌড়াত্ব আজও লাগামহীন। মাঝে মধ্যে সংবাদপত্রে এমন সংবাদ আমাদের বিষ্মিত করে ও কষ্ট দেয়।
বিচার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল স্তরে একজন নাগরিক যখন সম সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে সক্ষম হবেন-তখনই স্বাধীনতা শব্দটি স্বার্থক হবে। বিদেহী শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মা প্রশান্তি লাভ করবে।
সর্বপরি, মহান মুক্তিযুদ্ধে সকল শহিদের বিদেহী আত্মার প্রতি বিনীত শ্রদ্ধা ও মাগফিরাত কামনা করছি।
-ইমরুল কায়েস
বি.এস.এস(অনার্স), এম.এস.এস (মার্স্টার্স)
-রাষ্ট্রবিজ্ঞান(ঢা.বি)