ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় গত ৭ অক্টোবর থেকে নির্বিচারে বোমা হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এরপর ২৮ অক্টোবর থেকে স্থল হামলাও শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। ৪৮ দিনে ভয়াবহ বোমা হামলায় গাজায় ১৪ হাজার আট শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর মধ্যে নারী ও শিশু ১০ হাজারের বেশি। আরও ৩০ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি আহত হয়। অবশেষে দুই পক্ষ গত ২৪ নভেম্বর থেকে চার দিনের যুদ্ধবিরতি সম্মত হয়। বর্তমানে সেই যুদ্ধবিরতি চলমান রয়েছে।
এদিকে, বিগত দেড় মাসে গাজা লক্ষ্য করে ৪০ হাজার টন বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরায়েল সেনাবাহিনী। এমনটা জানিয়েছে উপত্যকাটির সরকারি গণমাধ্যম।
গাজার মিডিয়া অফিসের প্রধান সালামা মারুফ যুদ্ধবিরতির তৃতীয় দিনে টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
মারুফ বলেন, “ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী উপত্যকায় ৪০ টন বিস্ফোরক ফেলেছে। দখলদারদের নৃশংসতা ক্যামেরার মাধ্যমে যাচাই-বাছাইয়ের পর বিষয়টি উন্মোচিত হয়েছে।”
ইসরায়েলের ব্যবহৃত এবারের বোমাগুলো আগে কখনও ব্যবহার করা হয়নি। শতাধিক মানুষকে নিহত হওয়ার স্থানেই কবর দেওয়া হয়েছে। এ ধ্বংসযজ্ঞ গাজাকে বসবাসের অযোগ্য করে তোলার ইচ্ছার প্রতিফলন।-এভাবে ইসরায়েলি বাহিনীর নৃসংসতা বর্ণনা করেন সালামা ।
সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি