মোহাম্মদ জুয়েল রানা, (স্টাফ রিপোর্টার)ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনটি একটি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় সংসদীয় আসন এটি। ইতিমধ্যে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে নবীনগরে ভোটারদের মাঝে তেমন নির্বাচনী হাওয়া না থাকলেও এই আসনে কে হচ্ছেন নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী, তা নিয়ে চলছে সকল জল্পনা কল্পনা। এমনকি এনিয়ে চুল ছেড়া বিশ্লেষণ। চলছে চায়ের দোকান থেকে ঘরোয়া আড্ডা পর্যন্ত।
জানা গেছে, এই আসনে নৌকার মাঝি হতে নৌকার মনোনয়ন কিনেছেন এক ডজন প্রার্থী। তারা হলেন- বর্তমান এমপি মোঃ এবাদুল করিম, সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, বঙ্গবন্ধু ব্যারিস্টারস কাউন্সিল সভাপতি ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া নবী, হকি ফেডারেশনের সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ নেতা একে এম মমিনুল হক সাইদ, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহ সম্পাদক আলামিনুল হক আলামিন, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক অধ্যাপক নূরুন্নাহার বেগম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার কবির আহমেদ ভূঁইয়া, আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মোহাম্মদ আবু আব্বাস ভূঁইয়া, আইন বিষয়ক উপকমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫ নবীনগর আসনে এবার আওয়ামী লীগের এক ডজন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম জমা দিলেও দলীয় প্রার্থী হিসেবে বেশি আলোচনায় রয়েছে দুইজন। তারা হলেন বর্তমান সংসদ সদস্য মোঃ এবাদুল করিম এবং সাবেক এমপি ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল।
এ দুইজনের পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা ব্যারিস্টার জাকির আহাম্মদ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের প্রথম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী মোর্শেদ হোসেন কামালের নামও জোড় আলোচনায় রয়েছে। অন্যদিকে এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন জোটের প্রার্থী হিসেবে জাতীয় পার্টির পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের মুখপাত্র কাজী মামুনূর রশীদ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদের নামও আলোচনায় রয়েছে।
তবে দলীয় সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে তৃণমূল নেতাকর্মীরা। নৌকার মাঝি শেষ পর্যন্ত কে হচ্ছেন তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ২৬শে নভেম্বর রবিবার পর্যন্ত। শনিবার চট্টগ্রাম বিভাগের আওতায় সংসদীয় আসনগুলোতে কে নৌকার প্রার্থী হবেন তা চূড়ান্ত করবেন আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধানী আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড।