ঢাকা২০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চাটখিলে দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণহীন ঊর্ধ্বগতি, দেখার কেউ নেই

বার্তা বিভাগ
নভেম্বর ৫, ২০২৩ ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

মো.বেলাল হোসেন, স্টাফ রিপোর্টার :
নোয়াখালির চাটখিল উপজেলার বাজারগুলোতে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।বাজার ব্যবস্থাপনার সাথে জড়িত প্রশাসনের তদারকি নেই বললেই চলে।

চাটখিল পৌর বাজার ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পর্যায়ের বাজারগুলোতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাইকারী ব্যবসায়ীরা কৌশলগত ভাবে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে যাচ্ছে। এতে করে খুচরা বিক্রেতারা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। কেউ কেউ বলছে পণ্য পরিবহনে হরতাল-অবরোধের কারণে দাম আরও বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে দাম বৃদ্ধির মূল কারণ জানা যাচ্ছে না পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
ক্রেতারা বলছে পাইকারী পর্যায়ে এক টাকা দাম বাড়ালে খুচরা ব্যবসায়ীরা সেটাকে পাঁচ টাকা বাড়িয়ে ফেলে।

রবিবার (৫ নভেম্বর)চাটখিল উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা মূল্যে (প্রতি কেজি) লাল শাক ১২০-১৩০, আলু ৬০-৭০টাকা, পেয়াজ ১০৫-১২০টাকা, মুলা ৮০-৮৫ টাকা, বেগুন ১০০-১১০টাকা,
ফুলকপি-৯০-১১০টাকা, রসুন ১৯০-২২৫ টাকা,কাঁচা মরিচ ২০০-২২০টাকা, টমেটো ১০০-১৩০ টাকা, বরবটি ৯৫-১১০ টাকা, করলা ১১০ টাকা, হাড়সহ গরুর মাংস ৭৫০ টাকা, হাড় ছাড়া গরুর মাংস ৮০০-৮৫০টাকা,মাঝারি সাইজের রুই মাছ ৪০০-৪৫০টাকা,তেলাপিয়া ৩০০-৩৫০টাকা,পাঙ্গাস ২৫০-৩০০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার চাহিদার অতিরিক্ত পণ্য সামগ্রী থাকলেও দাম বৃদ্ধির সুনির্দিষ্ট কোন কারণ ব্যবসায়ীরা জানাতে পারেনি। পাইকারী ও খুচরা ব্যবসায়ীরা পরস্পরকে দোষারোপ করেই যেন দায়সারা। অনুসন্ধানে দেখা যায় পণ্যের সংকট না থাকলেও ক্রেতার সংকট রয়েছে। বাজারে ক্রেতার উপস্থিতি কম পরিলক্ষিত হয়। ক্রেতারা অনেকেই জানান, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধির কারণে প্রয়োজনীয় ভোগ পণ্য ক্রয় করতে পারছে না। সীমিতভাবে ক্রয় করে কোনমতে জীবনযাপন করছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন বাজার মনিটরিং করলে ব্যবসায়ীরা মনগড়া দাম বৃদ্ধি করতে পারবে না বলেও অনেক ক্রেতা জানান।

এদিকে বাজারে আটা, ময়দা ও তেলের দাম কমলেও চাটখিলের হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের দাম কমানোর কোন আলামত দেখা যাচ্ছেনা। বিভিন্ন হোটেলগুলোতে এখনো দেখা যাচ্ছে পরোটা প্রতি পিস ১৫-১৮ টাকা,নান রুটি ১৮-২৫ টাকায় বিক্রি করছেন।ভোক্তাদের অভিযোগ, চাটখিলের রেস্টুরেন্টেগুলোতে সকল প্রকারের খাবারের দাম অন্যান্য জায়গা থেকে কয়েক গুণ বেশি নেওয়া হচ্ছে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো.কাউছার মিয়ার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ফেনী ও নোয়াখালী দুই জেলার দায়িত্বে থাকায় সকল উপজেলা মনিটরিং করা সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, উপজেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে না পারলে পরবর্তীতে তিনি চাটখিলে অভিযান পরিচালনা করবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। যোগাযোগ: হটলাইন: +8801602122404 ,  +8801746765793 (Whatsapp), ই-মেইল: thesocialtimes24@gmail.com