ঢাকা১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মানিকগঞ্জে সেতুর সাথে ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি

বার্তা বিভাগ
অক্টোবর ১২, ২০২৩ ৫:৫০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আমিনুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ:

মানিকগঞ্জে কালীগঙ্গা নদীর বেউথা সেতুর পিলারের সাথে ধাক্কা লেগে বালুবাহী বাল্কহেড ডুবি। গত একসপ্তাহে উদ্ধার করা হয়নি ডুবন্ত বাল্কহেড। স্বীকার করছে না কেউ অর্ধ ডুবন্ত বাল্কহেড কার? রাতে অবাধ বাল্কহেড চলাচলে ঝুঁকিতে রয়েছে কালীগঙ্গা নদীর উপর নির্মিত দুইটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু।

জানাগেছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর বালু ভর্তি অবস্থা দুই বাল্কহেড পাল্লা দিয়ে চলতে গিয়ে একটি সেতুর পিলারের ধাক্কা দিয়ে ডুবে যায়। গত একসপ্তাহ পার হয়ে গেলেও উদ্ধার করা হয়নি ডুবন্ত বাল্কহেড। সেতুর মাঝখানের পিলারে ধাক্কা দিয়ে বাল্কহেড আংশিক ডুবে যায়।

এতে নির্মিত সেতুর পিলারের ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কালীগঙ্গা নদীতে ইজারাকৃত বালু মহলে ড্রেজারে বালু উত্তোলন কাজে বাল্কহেড নদীতে চলাচল করছে। রাতের আধারে এসব বাল্কহেড চলাচলে নেই কোন বাঁধা নিষেধ। যারফলে অবাধে গভীর রাতে চলাচল করছে এসব বাল্কহেড। কালীগঙ্গা নদীতে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ দুইটি সেতু। অবাধ চলাচলে ঝুঁকিতে পড়ছে দুইটি সেতু।

মানিকগঞ্জ এলজিইডি সুত্রে জানাযায় ৩৮ কোটি ৭৪ লাখ ৪৫ হাজার ১১৪ টাকা ব্যয়ে ২০১৩ সালে বেউথা কালীগঙ্গা নদীর ২১৯ মিটার ব্রীজ নির্মাণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেউথা কালীগঙ্গা নদীর বেউথা ব্রীজের মাঝখানে পিলারের সাথে একটি বাল্কহেড আংশিক ডুবন্ত অবস্থায় রয়েছে। পাশ দিয়ে অন্যান্য বালু ভর্তি বাল্কহেড চলাচল করছে।

স্থানীয়রা জানান, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর দুইটি বাল্কহেড একযোগে পাল্লা দিয়ে যেতে গিয়ে ব্রীজের পিলারের নিচের অংশের সাথে ধাক্কা লেগে বালুবাহী একটি বাল্কহেড ডুবে যায়। পিলারের সাথে বাল্কহেডের মারাত্মক ভাবে ধাক্কা লাগায় পিলাররের ক্ষতির শঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
এবিষয়ে মানিকগঞ্জ এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুল হক বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে লোক পাঠিয়ে ছিলাম। ব্রীজের পিলারের উপরের অংশে কোন ক্ষতি হয়নি। তবে ব্রীজের পানির নিচে অংশ ক্ষতি হয়েছে কিনা এখনো ধারণা করা যায়নি।
এব্যাপারে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিস্বর পাল বলেন, খবর শুনে আমি এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলীকে একটি টিম পাঠাতে বলা হয়েছে । রাতের আধারে বাল্কহেড চলাচলের বিষয়টি বিআইডব্লিউটিএ’র দেখভাল করার কথা। এখন পর্যন্ত বাল্কহেডের মালিক শনাক্ত করতে পারেনি এলজিইডি। মালিক শনাক্ত হলেই বাল্কহেড উদ্ধার কাজ চলবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। যোগাযোগ: হটলাইন: +8801602122404 ,  +8801746765793 (Whatsapp), ই-মেইল: [email protected]