এম আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর):
যশোরের কেশবপুরে পাটের বাম্পার ফলন হলেও দাম নিয়ে চাষীরা পড়েছে চরম বিপাকে। কৃষি অফিস সুত্রে জানাগেছে,
এ বছর পাটের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫হাজার ১০ হেক্টর জমি। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই পাট চাষের জন্য আবহাওয়া
অনুকুল থাকায় ও কৃষি অফিসের কর্মকর্তা কর্তৃক চাষীদের উদ্বুদ্ধকরনের ফলে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৯০ হেক্টর বেশী জমিতে
আবাদ হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে কিন্তু কৃষি অফিসের দেখানো লাভের আশায় তারা পাটের আবাদ করে খরচ উঠাতে
পারছে না তারা।
অধিক লাভের কথাবলে পাট চাষ করালেও লাভ তো দুরের কথা বর্তমার বাজার দরে পাট বিক্রি করে চাষীরা এখন উৎপাদন খরচ
তুলতে হিমশিম খাচ্ছে। ফলে কৃষকদের মাঝে এখন চরম হতাশা বিরাজ করছে। পাটের দর পতনের ফলে পাঠ চাষে এ উপজেলার
কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।
উপজেলার ভালুকঘর গ্রামের পাট চাষী মোঃ মিজানুর রহমান মোড়ল বলেন, বিঘা প্রতি পাটের আবাদে জমি চাষ, সার,
পানি, কীটনাশক ও কামলাসহ কৃষকদের খরচ হয়েছে ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। ১ বিঘা জমিতে ভাল ফলন হলে ১৪
থেকে ১৬ মণ পাট হয়ে থাকে। বর্তমান বাজার দর হিসাবে চাষীদের ১ মণ পাট ১৩’শ থেকে ১৪’শ টাকায় বাজারে
বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে পাট চাষ করে কৃষকরা উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না। ক্ষেত্র বিশেষ প্রতি বিঘায় ১হাজার থেকে
দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত লস হচ্ছে। দেউলী গ্রামের পাট চাষী আব্দুস সামাদ ও বারুইহাটী গ্রামের আব্দুল মান্নান
বলেন, পাট চাষ করে খরচ বাচাতে পারবো কিনা তাই নিয়ে সংশয়ে আছি। আগামী বছর হয়তো আর পাট চাষ করবো
না। পাটের বিকল্প কিছু ভাবতে হবে।
এবিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মাহমুদা আক্তার বলেন, বর্তমানে পাটের বাজারে যে অস্তিরতা বিরাজ করছে তা
সাময়িক। অনেক সময় ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেটের কারনে হয়ে থাকে। আশা করছি দ্রæত পাটের বাজার ন্যায্য মুল্যে ফিরে
আসবে। কারণ বাইরের দেশে বাংলাদেশের সোনালী আশ’র ব্যাপক সুনাম ও চাহিদা রয়েছে।