তাপস মজুমদার,স্টাপ রিপোর্টার-সাতক্ষীরাঃ
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জের কৃষান মজদুর ইউনাইটেড ইন্সটিটিউট এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বাঁধা দিতে এসে তোপের মুখে সাবেক তিন জনপ্রতিনিধি। অপসারণ ও বহিরাগতদের হুমকীর বিচার চেয়ে কর্মসূচি অব্যহত রাখতে পাল্টা হুমকী আন্দোলন কারীদের। সরেজমিন সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব ঘোষনা অনুযায়ী উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের কৃষানমজদুর ইউনাইটেট ইন্সটিটিউটের শতশত শিক্ষার্থী।
মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় ইন্সটিটিউটের মাঠে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করে। এরপরে বেলেডাঙ্গা বাজারের প্রধান প্রধান সড়কে একাধিক বার বিক্ষোভ প্রদর্শন করে ছাত্র ছাত্রীরা। পরে এক সমাবেশে অত্র প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজিম বাহারের অপসারণ, লেখাপড়ার মানউন্নয়ন, নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠন ও দ্রুত শুন্যপদে নিয়োগের দাবী জানিয়ে বক্তব্য রাখেন দশম শ্রেণীর ছাত্র নাঈম হোসেন, মারুফ হোসেন, তাসকিন হোসেন ও অষ্টম শ্রেণীর তালেব রহমান। নবম শ্রেণীর ছাত্রী মারুফা পারভীন, সানজিদা পারভীন, তাসমিন পারভীন।
এসময়ে বিক্ষোভ কারীদের নিবৃত করতে অত্র ইউনিয়নের সাবেক মেম্বর আব্দুর রহমান মোল্লা, সাবেক মেম্বর ফজের আলী গাজী, সাবেক মেম্বর তপন বাবু ও যুবলীগ নেতা কাহারুলসহ কয়েকজন বাঁধা প্রদান করেন। একপর্যায়ে তপন মেম্বর মানববন্ধনের ব্যানার কেড়ে নিয়ে তাদেরকে নানান ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন। সবমিলে ঐ এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে কৃষান মজদুর ইউনাইটেট ইন্সটিটিউট আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। ১৯৭৩ সালে স্থাপিত বিদ্যালয়টি কালিগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র বেলেডাঙ্গা বাজারের পাশেই অবস্থিত। নতুন ভবন, পরিবেশ আর অবকাঠামোর উন্নয়ন হলেও দিনেরপর দিন অবনতি হচ্ছে লেখাপড়ার। সাবেক মেম্বর আব্দুর রহমান ও ফজের আলী গাজী বলেন স্কুলের দৃই তিনজন শিক্ষক মিলে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এসব করাচ্ছে।
মূলত হাবিবুর মাষ্টার, দেবদাশ ও পশান্ত মাষ্টার থেকে ছাত্র ছাত্রীদের মাঠে নামায়েছে। আমরা চাই স্কুলের পরিবেশ ফিরে আসুক। ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া শিক্ষে মানুষ হোক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাজিম বাহার বলেন আমার বিরুদ্ধে কতিপয় শিক্ষক ষড়যন্ত্র করছে এবং তাদের কাছে যারা প্রাইভেট পড়ে তাদের দিয়ে মানববন্ধন করাইছে।