ঢাকা১৬ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষক শনাক্ত, দেড় বছর পর গ্রেফতার

Link Copied!

আমিনুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ:

১২ বছরের শিশুকে ধর্ষণের দেড় বছর পর ডিএনএ পরীক্ষায় ধর্ষক শনাক্ত হয়েছে। গ্রেফতারপূর্বক আদালতের সোপর্দ করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সিংগাইর উপজেলার খাসের চর ২য় খন্ড গ্রামে।

মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর গ্রামে অভিযান চালিয়ে নুর আলম (৩৬) নামে ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে ওই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের পুত্র।

পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিকাল অনুমান ৪ ঘটিকায় খাসেরচর বাজারস্থ জনৈক মজিবর এর বিল্ডিংয়ের ছাদের উপর ছাগলের জন্য গাছের পাতা সংগ্রহকালীন মো: সেলিমের কন্যা ভিকটিম শান্তা আক্তারকে (১২) জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়। ওই ঘটনার ৬ মাস পর ভিকটিমের মা রেনুকা আক্তার (৩৯) বাদী হয়ে একই গ্রামে মৃত আছের মোল্লার ছেলে মোহনকে আসামী করে থানায় এজাহার দায়ের করে।

প্রাথমিক তদন্ত শেষে সিংগাইর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধনী ২০০৩) মামলা রুজু হয় (নং-১২/২৪৫)। তদন্তভার গ্রহণ করেন এসআই শেখ তারিকুল ইসলাম। বহুল আলোচিত
উক্ত মামলা রুজুর পর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম(বার) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন সরকার ও ইমতিয়াজ মাহবুব, সিংগাইর সার্কেল এর সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল ইমরান এর সার্বিক দিক-নির্দেশনা এবং সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর ইসলাম এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) শেখ তারিকুল ইসলাম মামলাটি তদন্তকালে এজাহার নামীয় আসামী মোহানকে গ্রেফতারপূর্বক বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত আসামী মোঃ মহিদুরকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

ইতিমধ্যে ভিকটিম গর্ভবতী হয়। ২০২২ সালের ১ নভেম্বর ভিকটিম পুত্র সন্তানের মা হয়। ঘটনাটি নাটকীয়তায় মোড় নেয়। ভিকটিমের পুত্র সন্তানের জৈবিক পিতা নির্ধারণের লক্ষ্যে তদন্তাকারী কর্মকর্তা আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে উপরোক্ত গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের সহ তদন্তে সন্দিগ্ধ আসামী সিরাজুল ও নুর আলম-দ্বয়ের ডিএনএ পরীক্ষার ব্যবস্থা করেন। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবরেটরী অব বাংলাদেশ, সিআইডি, মালিবাগ, ঢাকা হতে প্রাপ্ত ডিএনএ রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা যে, আসামী নুর আলম ভিকটিম শান্তা আক্তারের গর্ভজাত নবজাতক পুত্র সন্তানের জৈবিক পিতা।

ডিএনএ রিপোর্ট প্রাপ্তির পর সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ মিজানুর ইসলাম উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শেখ তারিকুল ইসলাম এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে নুর আলমকে গ্রেফতার করা হয়।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সৈয়দ মিজানুর ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃত নুর আলমক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম শান্তা আক্তারকে ঘটনার দিন ধর্ষণের কথা স্বীকার করে বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৬৪ ধারা মোতাবেক দোষ স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি প্রদানে ইচ্ছা পোষণ করে। আসামিকে আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করা হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। যোগাযোগ: হটলাইন: +8801602122404 ,  +8801746765793 (Whatsapp), ই-মেইল: thesocialtimes24@gmail.com