ঢাকা৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গাইবান্ধায় তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপরে; হুমকিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ,  ভাঙ্গনের মুখে শতাধিক বাড়িঘর

বার্তা বিভাগ
আগস্ট ২৭, ২০২৩ ৭:২৭ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আনোয়ার হোসেন,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
ভারী বৃষ্টি আর উজানের ঢলে গাইবান্ধায় সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। এছাড়াও জেলার অন্য নদ-নদীর পানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে চরাঞ্চল ও তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলসহ লোকালয়ে পানি ঢুকে গেছে। এতে শতাধিক পরিবার পানি বন্দি হয়ে পড়েছে।

রবিবার ( ২৭ আগষ্ট) সকাল ৯ টায় তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে গতকালের চেয়ে আজ তিস্তার পানি সুন্দরগঞ্জ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটার হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার তিস্তামুখ পয়েন্টে ২৪ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরে নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ৩০ সেন্টিমিটার, করতোয়ার পানি গোবিন্দগঞ্জের কাটাখালি পয়েন্টে ৫৭ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

পানি বৃদ্ধির কারণে সুন্দরগঞ্জ, সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরের নিম্নাঞ্চলে আবারও পানি ঢুকতে শুরু করেছে। সাঘাটার মুন্সিরহাট, খলায়হারাসহ বেশকিছু এলাকার প্রায় শতাধিক বাড়ি, দোকান ও অসংখ্য গাছপালা নদীতে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। লোকালয়ে তিস্তার পানি প্রবেশ করে গ্রামীণ রাস্তা তলিয়ে গেছে। দুর্ভোগে পড়েছে হাজারো মানুষ। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে ভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে নদী তীরবর্তী মানুষ।

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক ফোনে বলেন, গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও পানি কমতে শুরু করেছে। সকাল ৯ টা পযর্ন্ত ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ৮২ সেন্টিমিটার ও করতোয়ার ৩০৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। ভাঙ্গন এলাকাগুলো জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চলছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। যোগাযোগ: হটলাইন: +8801602122404 ,  +8801746765793 (Whatsapp), ই-মেইল: [email protected]