মোহাম্মদ জুয়েল রানা, স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাক্ষণবাড়িয়া:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে প্রথমে আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মিলাদ মাহফিল ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল এমপি, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী সাহান সহ দলীয় নেতা কর্মীরা।
দুপুরে নবীনগর বড় বাজারে জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান এর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও ১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে ও হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু সহ নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় ১ মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সুজিত কুমার দেবের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীনগরের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ এবাদুল করিম বুলবুল, জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি কাজী ইয়াবের হাসান জামিল, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাকির হোসেন সাদেক, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শিউলি রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি মোশারফ হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শুকুর খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম নজু, ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদক নিয়াজুল হক কাজল, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শফিকুর রহমান, কাজী ফেরদৌস, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আহমেদ হোসেন কবির, উপপ্রচার সম্পাদক প্রণয় কুমার ভদ্র পিন্টু, কার্যকরী সদস্য সাইফুর রহমান সোহেল, মোঃ ফিরোজ মিয়া কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শিরিন শিলা, ছাত্রলীগের সাবেক আবু সাঈদ প্রমুখ। আলোচনা সভায় জেলা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, অঙ্গসংগঠন সহ সকল সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত সকলের মাঝে তাবারক বিতরণ করা হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্য জাতীয় সংসদ সদস্য বলেন-“ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘজীবন কারাবরণ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে আমাদেরকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে জন এই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ পূর্ণ গঠিত হচ্ছিল তখনই একদল বিপথগামী সেনা সদস্যদের হাতে ৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নির্মমভাবে শহীদ হন।
বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া বাংলাদেশের অসমাপ্ত কাজকে সমাপ্ত করে বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোডমডেল হিসেবে তৈরি করছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে সকল মুক্তিযোদ্ধারা যেভাবে একত্রিত হয়ে দেশকে স্বাধীন করেছিল ঠিক তেমনি ভাবে করোনা মহামারীর পর বর্তমানে বৈশ্বিক যুদ্ধাবস্থায় অর্থনীতির টালমাটাল পরিস্থিতিতে আমাদের প্রত্যেকেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা আলোকে আমাদেরকে একসঙ্গে সকল কাজে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
যারা বর্তমান পরিস্থিতিতে বর্তমান সরকার ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। আমরা যদি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে পারি, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যেভাবে দেশ স্বাধীন হয়েছে, ঠিক তেমনি ভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সকল সমস্যার সমাধান করব ইনশাল্লাহ।”