ঢাকা১৪ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মর্জিনা সুমি কে নিয়ে আজকের বিশেষ আয়োজন-লিজেন্ড’স টক

বার্তা বিভাগ
আগস্ট ১৫, ২০২৩ ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

লিজেন্ড’স টক প্রথম পর্বে আমাদের আজকের অতিথি মর্জিনা সুমি। যিনি দীর্ঘ দিন দক্ষতার সাথে প্রসিদ্ধ কাস্টমার কেয়ারে কাজ করেছেন। তাও আবার এয়ারটেল এবং আকাশ ডিটিএইচ এ। বর্তমানে তিনি  একটি Multi National Company তে Business development executive পদে কর্মরত আছেন।

আজ আমরা এ লিজেন্ড  থেকে জানব, আসলে কাস্টমার কেয়ারে কাজ  করা  কতটা চ্যালেঞ্জিং বা উপযোগী।  এখানে  আমাদের বেকার ভাই বোনরা এ জব সিলেক্ট করার  ক্ষেত্রে তাদের জন্য থাকছে  গুরুত্বপূর্ণ  নির্দেশনা।  চলুন সরাসরি যুক্ত হই আজকের লিজেন্ড এর সাথে-

# আস্সালামু আলাইকুম, সুমি আপা কেমন আছেন?

সুমি: আলহামদুলিল্লাহ , সব কিছু মিলে বেশ ভালো।

#একজন নারী হিসেবে কাস্টমার কেয়ারে কাজ করা  আপনার জন্য কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

সুমি:  ধন্যবাদ, দ্যা সোশ্যাল টাইমস্  পরিবারকে । আজকের  লিজেন্ড’স টক এ পর্বে আমাকে যুক্ত করার জন্য।

আসলে একজন নারী হিসেবে কাজটা এত সহজ ছিলো না। কারণ অনেকের কাছে শুনেছি কল সেন্টার এর পরিবেশ ভালো না। কাস্টমার অনেক গালাগালি করে। কল সেন্টার এ প্রচুর কথা বলতে হয়। জব টা বেশি দিন করতে পারবো না। তারপরও সাহস করে join করে ফেলি Airtel customer service এ। একটি BPO sector এ, কল সেন্টারের জব টা challage হিসেবে নিয়ে ছিলাম। but family থেকে সব চেয়ে বড় বাধা আসলো shifting নিয়ে। কারণ কল সেন্টার 24hour সার্ভিস। সে ক্ষেত্রে, মেয়েদের রাত ১১ তপর্যন্ত এ শিফট করতে হতো। আমার বাসা ছিলো মিরপুর এ। আর অফিস ছিলো উত্তরা। যায় জন্য বাসায় আসতে al most রাত ১২ টা বেজে যেত। আর এই নিয়ে আমার মায়ের কাছে অনেক কথা শুনতে হতো। এত রাত করে বাসায় আসি। মানুষ কি ভাববে। বলবে- কি চাকরি করে; রাত ১২ টায় বাসায় আসে ।

# সাধারণত কাস্টমার কেয়ারে আপনাকে কি কি কাজগুলো করতে হতো?

সুমি: Customer care এ আমাদের কাজ ছিলো- কল রিসিভ করা। কল সেন্টার এ মূলত, inbound , outbound, complain management, digital online service এই 4 lob তে কাজ করতে হয়। আমি inbound এ কাজ করেছে। দীর্ঘ ৯ বছর inbound, outbound, complain management এই LOB তে just ১ টি company তে।

#কজন গৃহিনী হিসেবে ফ্যামিলি ম্যানেজমেন্ট ও রোস্টার আওয়ার অফিস – দুটো কিভাবে করতেন?
সুমি: family support না থাকলে তো জব করা কখনোই possible না। আমার হাসবেন্ড এর সাপোর্ট সব সময় ছিলো। অনেক সময় রাত করে এসে দেখতাম- আমার হাসব্যান্ড না খেয়ে গুমিয়ে গেছে। আমাকে রেখে কোনো দিন সে খায়নি। অনেক সময় ব্যাস্ততার কারণে এসে রান্না করতাম। তখন খেতে অনেক রাতও হতো। কখনো কিছু বলেনি। কারণ সে বুঝতো আমার জব টা আমার 2nd হাউস। জবটা ওর 2nd ফ্যামিলি হয়ে গেছে। তো ফ্যামিলির সাপোর্ট তো অবশ্যই ছিলো।

# আজ হয়ত অনেকেই আপনার নাম শুনবে বা আপনাকে চিনবে: তাদের উদ্দেশ্যে আপনার কিছু বলার আছে?

সুমি: অনেক কিছুই বলার আছে। তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, কল সেন্টারের environment কখনোই খারাপ না। আমি এত বছর জব করতে পেরেছি শুধু মাত্র ভালো একটা পরিবেশ পেয়েছি বলেই। আর যেহেতু 24hour সার্ভিস, তাই সব শিফট ই করতে হয়।

তাই আমার মত অনেকেই হয়তো ফ্যামিলি প্রবলেম ফেস করছ। সেই সব ফ্যামিলির উদ্দেশে বলব- রাত করে বাসায় ফিরলে যে জব টা ভালো না, আপনার মেয়ে খারাপ হয়ে গেছে, এমন কিছু নয়। সকল ফ্যামিলির কাছে আমার request, এই জব টা কে পজেটিভ হিসেবে গ্রহণ করবেন।

আর maximum ছেলে মেয়েরা কোথাও apply করতে গেলে fresher দেখে বাদ দিয়ে দেয়। তাদের জন্য আমি বলবো -কল সেন্টার জব টা best। কারণ কল সেন্টারে জব করার মধ্য দিয়ে আপনার কম্পিউটার use এর জড়তা কমবে। পাশাপাশি কথা বলার জড়তা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। আর another job interview তে fresher হিসেবে আপনাকে at least বলবেনা। যেহেতু আপনি আগে কোথাও জব করেন নি, আপনার জবের কোনো এক্সপেরিয়েন্স নাই। এবং এই এক্সপেরিয়েন্স দিয়ে আপনি বিভিন্ন ব্যাংক এর কল সেন্টারে  প্রাধান্য পাবেন। যা আমি পেয়েছি। আমার অনেক সহকম রাও, DBBL, সিটি ব্যাংক, EBL, আরো অনেক ব্যাংক আছে যাদের starting salary 20+ ।

# যে সব আপুরা চাকরিকে ভয় পাচ্ছেন বা চাকরিতে আসতে সাহস পাচ্ছেন না ; তাদের উদ্দেশ্যে আপনার পরামর্শ কি?

সুমি:  যারা জব করতে চান না, বা জব কে ভয় পান তাদের উদ্দেশে বলছি- হাসবেন্ড এর ব্যাংক ব্যালান্স যতই থাকুক নিজের একটা পরিচিতি তৈরি করুন আগে।  self dependent আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। অনেক মেয়েরা আছে যারা  শুধু টাকার  জন্য জব করেনা। আসলে জবে থাকলে আপনার সময় টা ভালো কাটবে।  আপনার মন মানসিকতা ভালো থাকবে।  ঘরে বসে থাকলে আপনার বিভিন্ন টেনশন মাথায় আসবে। আর যদি একান্তই কেউ বাসায় বসে earn করতে চান, তাহলে আপনার skill development এর একটা কোর্স করে নিতে পারেন।  মার্কেট প্লেসে কাজের জন্য লেগে পড়েন।  এর কোনো বিকল্প নেই।  যেটা আমার future plan, আপনি কেন নয়।  লেগে পড়ুন ঘরে বসে ডলার income করুন। চেষ্টা চালিয়ে যান,  সফলতা আসব। ধৈর্য হারানো যাবে না। আমার কথা শুনে যদি একজন মেয়ে self dependent হয়, সেটাই আমার সর্তকতা।

# ধন্যবাদ, আপনাকে আমাদের লিজেন্ড’স টক আজকের পর্বে যুক্ত হবার জন্য। ভালো থাকবেন, সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

সুমি: সোশ্যাল টাইমস্ পরিবারের জন্য শুভ কামনা একটি সুন্দর প্রোগ্রামের অয়োজন করার জন্য। সবার জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা। আল্লাহ হাফেজ।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে হয়। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বে-আইনি। যোগাযোগ: হটলাইন: +8801602122404 ,  +8801746765793 (Whatsapp), ই-মেইল: [email protected]