আনোয়ার হোসেন,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার হাট ভরতখালি,চর গোবিন্দী,উত্তর সাথালিয়া সহ মুন্সিরহাট পয়েন্টে ভয়াবহ যমুনার ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে নয় টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান,অর্ধশতাধিক কাঁচা ও পাকা বাড়িঘর দুয়ার। হুমকির মুখে পড়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি হাইস্কুল, মাদ্রাসা, মসজিদ, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ সহ বিভিন্ন স্থাপনা।
অপরদিকে বসতভিটা হারা পরিবার গুলো তাদের সর্বস্ব হারিয়ে কোন কুল কিনারা না পেয়ে মাথা গোজার ঠাই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এদিকে ভাঙ্গন কবলিত এলাকার লোকজন জানান, ভাঙ্গন প্রতিরোধে যেটুকু বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে, তা প্রয়োজনের তুলনায় অতি সামান্য। নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়া বাড়ির মালিক আয়েশা বেগম জানান, আমার বাড়ি ঘর দুয়ার আসবাবপত্র হাড়ি পাতিল টাকা পয়সা সব কিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে , এখন আমার মাথা গোজার ঠাই নাই বলে তিনি কান্না বিজড়িত কন্ঠে জানান।
একইভাবে গৃহহারা ভুক্তভোগী রেজাউল করিম জানান, আমি ঘর থেকে একটি জিনিসও বের করতে পারি নাই, আমার ঘরবাড়ি সবকিছু নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এখন আমি কোথায় যাব কোন কুল কিনারা নাই। আমার স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে ৩ নং সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট বলেন, ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় বালু ভর্তির জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান আছে, হঠাৎ করে দুইটি বসত ভিটা ঘর সহ সম্পূর্ণ নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে।
জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন প্রতিরোধ না করতে পারলে বিভিন্ন স্থাপনা হাট বাজার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ সহ সাঘাটা হেডকোয়ার্টার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাবে বলে জানান তিনি ।