আমিনুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার স্বপ্নের ঠিকানা পেয়ে আনন্দে উচ্ছ্বসিত মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার ১১৯ ভূমিহীন-গৃহীন পরিবার।
৯ আগস্ট সাব-কবলা জমির দলিল ও সেমিপাকা ঘরের চাবি পেয়ে আনন্দ-আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন। ঠিকানাবিহীন ছিন্নমূল পরিবারের সদস্যরা জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এবং তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন।
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার গড়পাড়া ইউনিয়নে নির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পের সুবিধাভোগি মধ্যবয়সি আমেনা বেগম বলেন, এতদিন স্বামী-সন্তান পরিবার পরিজন নিয়ে অন্যের জায়গায় চালা (ঘর) তুলে ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে মানবতার জীবনযাপন করেছি। সারা জীবন দুঃখ কষ্টে কাটিয়েছি। এখন নতুন ঘর পেয়েছি। বাকি জীবন পরিবার-পরিজন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে কাটানোর স্বপ্ন দেখছি।
হাস্যজ্জল আমেনা বলেন, পাকা ঘর পাওয়ার অনুভূতি বলে বোঝাতে পারবো না। আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
আশ্রয়নের আরেক বাসিন্দা ষাটোর্ধ রহিম উদ্দিন বলেন, অনেক সরকার ক্ষমতায় এসেছে। সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু আমাদের মত অসহায় মানুষের কথা কখনও ভাবে নাই। শেখ হাসিনা জনবান্ধব সরকার। আমাদের দুঃখ দুর্দশার কথা ভেবে মাথা গোজার ঠাই দিয়েছেন। নতুন জীবনের প্রত্যাশায় স্ত্রী- সন্তান নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছি।
উপজেলা চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন বলেন, উপজেলায় যাদের ঘরবাড়ি জায়গা সম্পত্তি কিছু ছিল না বর্তমান সরকার তাদের বিনা পয়সায় জমিসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দিয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জ্যোতিশ্বর পাল বলেন, শেষ ধাপে ১শ’ ১৯টি ঘর উপহার দিয়ে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলাকে ক শ্রেণীর ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী।
জেলা প্রশাসক রেহেনা আক্তার বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে মানিকগঞ্জের ১ হাজার ৪৪৫ জন পরিবারের মাঝে রঙিন টিনের সেমিপাকা ঘর উপহার দেওয়ায় হয়েছে। এতে আনন্দ- উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে অসহায় পরিবারগুলো।
তিনি বলেন, ব্যয়বহুল ঘরগুলো পরিচর্যা ও সুরক্ষায় সুবিধাভোগিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
সদর উপজেলাসহ মানিকগঞ্জের ৭টি উপজেলায় ১হাজার ৪’শ ৪৫টি দুই কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘর উপহার দিয়েছেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্ব নন্দিত এই উপহার মানিকগঞ্জের অসহায় জনগোষ্ঠীর মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।
দরিদ্র এই জনগোষ্ঠী ফিরে পেয়েছে সামাজিক মর্যাদা। আপন ঠিকানায় তারা নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখছে।