আনোয়ার হোসেন,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
“ও নদীরে তুই ভাঙ্গলি আমার ঘর, তোর বুকেতে থাকতাম বেঁচে করলি আমায় পর।”
ব্রহ্মপুত্র নদীর পাড়েই মিতালী বেঁধেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১১ নং গিদারি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড ধুতিচোরা শিলপাড়া আদর্শ গ্রামের মানুষজন।
চোখের সামনে কৃষকের একমাত্র সম্বল আবাদী জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। আর তা চেয়ে চেয়ে দেখতে হচ্ছে অসহায় লোকজনকে। গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউনিয়নের এমন দৃশ্য এখন নৈমিত্তিক ঘটনা।
প্রতিবছরেই ব্রহ্মপুত্র নদীর ভাঙনে শত শত বাড়িঘর, বিদ্যালয়, হাটবাজারসহ বিস্তীর্ণ জনপদ হারিয়ে যাচ্ছে। অথচ দেখার যেন কেউ নেই। এ জনপদকে রক্ষার ব্যাপারে নেই কারো কোনো উদ্যোগ।
এলাকাবাসী বাধ্য হয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
গত কয়েক বছর ধরে সর্বনাশা ব্রহ্মপুত্র নদীর অব্যাহত ভাঙনে নদী পারের শত শত ঘরবাড়ী বিলীন হয়ে গেছে।
সরেজমিন গিদারী ইউনিয়নের গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিনিয়ত এই এলাকার মানুষের জমিজমা নদীর গর্ভে বিলিন হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
খোজঁ নিয়ে জানা যায় , উপজেলার ব্রহ্মপুত্র নদী ভাঙনে কাউন্সিলে বাজার, শিলপাড়া আদর্শ গ্রাম, আনালের ছড়া,বেরিবাদ রাস্তা সহ ইউনিয়নের একাংশ রয়েছে হুমকির মুখে।
ধুতিচোরা শিলপাড়া আদর্শ গ্রামের লোকজন জানান, ব্রহ্মপুত্র নদী ধীরে ধীরে গিদারী ইউনিয়নের শিলপাড়া গ্রামের নদী তীরবর্তী ফসলি জমি খেয়ে ফেলছে। এভাবে নদী ভাঙন অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে এ ইউনিয়নের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
তাইতো ধুতিচোরা শিলপাড়া আদর্শ গ্রামের মানুষের আহ্বান এসব এলাকার নদী ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে ব্লক স্থাপন করতে হবে।নয়তো নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে ফসলি জমি সহ জনপদ।