আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার শিক্ষার্থী ছাইদুল সরদার এসএসসিতে জিপিএ-
৫ পেলেও পরিবার দিনমজুর হওয়ায় ভালো কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পরেছে।
উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি ও পড়া-লেখার খরচের চিন্তায় পিতা ও মা তাদের চোখমুখে এখন
হতাশার ছাপ।
জানা গেছে, উপজেলার সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২২-২৩
শিক্ষাবর্ষে এসএসসিতে বিজ্ঞান শাখায় জিপিএ-৫ পেয়েছে মো. সাইদুল সরদার।
সাইদুলের পিতা মো. বাবুল সরদার তিনি পেশায় একজন দরিদ্র কৃষক। তিনি অন্যের
জমিতে কৃষি কাজ ও বাজারে তরকারী বিক্রি করে সংসার চালান। অভাবের এই
সংসারে কষ্ট করে পড়াশোনা করেছে সাইদুল সরদার। উপজেলার গৈলা ইউনিয়নের
দক্ষিন শিহিপাশা গ্রামের দিনমজুর ও ৩ সন্তানের পিতা মো. বাবুল সরদারের ছোট
ছেলে মো. সাইদুল সরদার। তার বড় ভাই শাওন সরদার বিএ লেখাপড়ার পাশাপাশি একটি
কোম্পানীতে চাকুরী করছেন। তার মা পারভীন বেগম একজন গৃহিণী।
সাইদুল সরদার জানান, নিজে অন্যের জমিতে কাজ করে ও প্রাইভেট পড়িয়ে সেই
আয়ের টাকায় পড়ালেখার খরচ জুগিয়েছেন। এখন ভালো কোন কলেজে ভর্তি এবং
পড়ালেখায় প্রয়োজনীয় টাকা তার দিনমজুর পিতার পক্ষে যোগান দেওয়া সম্ভব নয়।
অর্থের অভাবে আমার ভালো কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পরেছে। ভবিৎষতে সাইদুল
লেখা পড়া করে ডাক্তার হয়ে দরিদ্রদের সেবা করতে চায়।
সাইদুল সরদারের পিতা মো. বাবুল সরদার জানান, অভাব-অনাটনের মধ্যেও পরের
জমিতে কাজ করে ভালো ফলাফল করেছে। সে আরও পড়তে চায়। ৫ জনের সংসারে কৃষি
কাজ করে সেই আয় দিয়ে সংসার চালানো দায় হয়ে পড়েছে। কিন্তু ছেলের কলেজে
পড়ালেখার খরচ কোথায় পাব। কোন রকম খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছি।
সরকারী গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. জহিরুল হক জানান,
সাইদুল সরদার একজন মেধাবী ছাত্র। গরীব পরিবারের সন্তান হয়েও ভালো রেজাল্ট করে
এখন অর্থের অভাবে ভালো কলেজে ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পরেছে তার। দরিদ্র হওয়ায় স্কুল
থেকে তার কোন পরীক্ষার ফিসহ কোন টাকা নেওয়া হত না।