তাপস মজুমদার,(কালিগঞ্জ-সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুপন্তরের উগ্রপন্থা প্রতিরোধে সক্রিয় জনসম্পৃক্তকরণ প্রকল্পের আওতায় ১৯ জুলাই বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সম্মেলন কক্ষে জাতীয় যুব নীতি ২০১৭ কার্যকর বাস্তবায়নে উপজেলা পর্যায়ে অধিপরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা এস এম আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে ও পিস কনসোডিয়ামের পরিচালক শাহাদাত হোসেন বাচ্চু এর পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান দিপালী রানী ঘোষ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা অন্না চক্রবর্তী কালিগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি শেখ সাইফুল বারী সফু, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দাশ বাচ্চু, বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি কালীগঞ্জ শাখার সভাপতি শেখ আনোয়ার হোসেন, মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, রতনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলিম আল রাজী টোকন, দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোবিন্দ মন্ডল, চাপাফুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইন, উপজেলা ইমাম সমিতির সভাপতি হাফেজ আব্দুল গফুর, উপজেলা পুরোহিত সমাজের সভাপতি তারক চন্দ্র আচার্য, পিস ক্লাবের সদস্য শেখ হারুন, আলামিন প্রমূখ।
রূপান্তরের কালিগঞ্জ উপজেলা সমন্বয়ক মো মিনহাজুল হকের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন প্রকল্পের সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া ও সুমিত শাহরিয়ার, সভায় বিভিন্ন ইউনিয়নের পিস ক্লাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ধারা ১৩ সুস্থ সমাজ বিনির্মাণ জাতীয় যুব নীতি ২০১৭ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ২০১৬ সালের জুলাইয়ের হোলি আটিজান বেকারিতে উগ্রবাদীদের ভয়াবহ হামলার উগ্রবাদ ও সহিংসতা প্রতিরোধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার এজেন্ডা হিসেবে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কান্টি সাপোর্ট মেকানিজম এই প্রকল্পের অংশীজন।
জাতীয় যুব নীতি ২০১৭ বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে অধিপরামর্শ সভায় প্রেসক্লাবের যুবকদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা সহ আগামীতে স্থানীয় সরকার অর্থাৎ ইউনিয়ন পরিষদের বাজেটে স্বল্প ভাবে যুবকদেরকে উজ্জীবিত করতে আর্থিক বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়।
জাতীয় যুব নীতিমালায় যুবকদের দক্ষতা বৃদ্ধি আর কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি নিয়ে যেমন আলোচনা হয়েছে তেমনি যুব সংগঠনের বিকাশ এবং দেশপ্রেম নৈতিকতার সামাজিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধ সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা সহ নানাবিধ সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনায় যুব অংশগ্রহণকেও সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।