রায়হান সিদ্দিকী, বেনাপোল প্রতিনিধি:
ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসব মুখর পরিবেশে বেনাপোলে অনুষ্ঠিত হলো পৌর নির্বাচন। সোমবার ১৭ জুলাই সকাল ০৬ টা থেকে বিকাল ০৪ টা পর্যন্ত পৌরসভার ০৯ টি ওয়ার্ডে চলে ভোট গ্রহন। ০৯ টি ওয়ার্ডের প্রতিটি কেন্দ্রে সকাল থেকে সকল আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি স্ট্রাইকিং ফোর্স, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এর সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ টিম আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ভোট কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ও ইভি এম এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন হওয়ায় এবারের পৌর নির্বাচন স্বচ্ছ ও গ্রহনযোগ্য হবে বলে আশা করছেন পৌর এলাকার ভোটারগন।
২০১১ সালের ১৩ জানুয়ারি বেনাপোল পৌর সভার ১ম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম শ্রেণির এ পৌরসভা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোটারদের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হিসেবে ৩ জন প্রতিদ্বন্দিতা করলেও শেষ মুহূর্তে এসে শনিবার (১৫ জুলাই) স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেন উজ্জল তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। বেনাপোল পৌর আওয়ামী লীগ অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নৌকার প্রার্থীর সমর্থনে তিনি প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন।
এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আছেন দুই জন মেয়র প্রার্থী। আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে নাসির উদ্দীন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মোবাইল ফোন প্রতীক নিয়ে সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন।
সংরক্ষিত মহিলা আসনে কাউন্সিলর প্রার্থী ১৫ জন ও ৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিল প্রার্থী ৪৭ জন বিভিন্ন প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
তবে মেয়র নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকার প্রার্থী নাসির উদ্দীন ও মোবাইল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মফিজুর রহমান সজনের মধ্যে।
একাধিক ভোটার কাউন্সিলর প্রার্থী দাবি করেন যে, যান্ত্রিক ত্রুটি ও সার্ভার জটিলতার কারনে ০১ জন ভোটারের ভোট গ্রহন করতে ০৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগছে, তাছাড়া অনেক উৎসাহ নিয়ে ভোট প্রদান করতে আসলেও ভোট গ্রহনের ধীর গতি কিছু কিছু বুথের ইভি এম সাময়িক অচল হয়ে যাওয়ায় ভোট প্রদান না করেই বাড়িতে ফিরে যান তাদের ভোটার সমর্থকগন।