আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার বালাসী যেন মিনি কক্সবাজারে পরিণত হয়েছে। আনন্দ উপভোগ করতে প্রতিনিয়ত দেশের বিভিন্ন প্রান্ত তথা উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে স্বপরিবারে ছুটে আসছেন জেলার ফুলছড়ি উপজেলার বৃহত্তর নৌবন্দর এ বালাসীঘাটে।
নদীর দু’পারে পর্যটকদের ঢল যেন চোখে পড়ার মতো। রংপুর,বগুড়া,লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম,ঘোড়াঘাটসহ বিভিন্ন জেলা উপজেলা থেকে হাজার হাজার মানুষের সমাগমে মুখরিত বালাসী ঘাট। এ উপলক্ষে বালাসীঘাটের নদী তীরে বসেছে বিভিন্ন রকমের পণ্যের বিপুল সমাহার।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ব্রক্ষপুত্র নদীর দু’পাড়ে শিশু,কিশোর-কিশোরী,বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ পরিবার -পরিজন নিয়ে পায়ে হেঁটে নদীর সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করছেন । অনেকেই নদীতে নৌকা নিয়ে ভ্রমণে নেমেছেন। কেউবা নদীর প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করছেন। আবার কেহ চরের মাঝে গিয়ে চরের বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যের সেলফি তুলছেন। কেউবা পরিবারের জন্য কিনছেন চুঁড়ি-ফিতা ও বাচ্চাদের জন্য বেলুন। কেউ খাচ্ছেন ফুচকা,আইসক্রীম এবং ঝাল চানাচুর। এখানে সব শ্রেণির ক্রেতাদের উপচেপড়া ভীড়।
এখানে শুধু ঈদ পার্বণেই নয়,সব সময় পর্যটকদের আনাগোনায় মুখর থাকে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও ভালো।
এখানকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে জানা যায়, সকাল থেকে রাত ১০ টা ১১ টা পযর্ন্ত নির্ভয়ে নৌকা ভাড়া করে ঘুরতে পারে পর্যটকরা।
বালাসীকে ঘিরে গড়ে উঠেছে হোটেল -রেস্তোরাসহ নানারকম খুচরা পণ্যের দোকান,যানবাহন রাখার জন্য গ্যারেজ। বালাসীর এ নৌবন্দর ঘিরে যে সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠেছে তা না দেখলে বোঝা যাবে না। প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশ নৌকা রিজার্ভ চলাচল করে। এসব মেশিনের নৌকা নিয়ে নদীর উপর ভেসে নদীর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করছে পর্যটকেরা। কেহ কেহ আবার নৌকা থামিয়ে চরে গিয়ে বিশাল কাঁশবনের সঙ্গে সেলফি তুলছে। কোন চরে গরু-মহিষের পালও দেখা যায়। তার পাশে সেলফি তুলছে। পাল তোলা নৌকা,ক্ষ্যাপের নৌকা,মাছ ধরার মনোরম দৃশ্য নদীকে আরো সুন্দর করে তুলেছে। যা স্বচক্ষে না দেখলে কারোই বিশ্বাস করার মতো নয়।
সরকার যদি এটি টেনেল নির্মাণ করত, তবে এ আঞ্চলের মানুষ ময়মনসিংহের মাঝ দিয়ে চট্টগ্রামে যেতে পারত মাত্র ৫ থেকে ৬ ঘন্টায়। এতে করে সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি গাইবান্ধা জেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে ব্যবসা বানিজ্যের প্রসার ঘটাতে পারত।