আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
আমদানির খবরে গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপের হাট বাজারে কাঁচা মরিচের কেজি ১৫০ টাকা। হঠাৎ বাজারে ধস নামায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন মরিচ চাষীরা।
একদিন আগেও যে মরিচের মন ছিল ১৬ হাজার টাকা। আজ রোববার একদিনের ব্যবধানে ধাপের হাট বাজারে কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে তিনভাগ কমেছে। একদিন আগেও ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এমন বাজার ধসে অনেক মরিচ চাষীই মরিচ বিক্রি না করে ফিরিয়ে নিয়ে গেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামীকাল থেকে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পণ্যটি আমদানি হতে পারে এমন খবরে দাম কমেছে। তবে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরবে আসবে বলে আশা ক্রেতা ও বিক্রেতাদের।
ধাপের হাট বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে আসা রাজ্জাক বলেন, কাঁচা মরিচের দামের যে ঊর্ধ্বমুখী তাতে গত কয়েকদিন ভয়েই কিনিনি। আজ ২শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপর ক্রেতা বলেন, কাঁচা মরিচের দাম অন্য সব পণ্যকে ছাড়িয়ে গেছে। দাম বাড়তে বাড়তে ৪০০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে আজকে তিনভাগ কমেছে ।
ধাপের হাট বাজারের কাঁচা মরিচ বিক্রেতারা জানান, বিভিন্ন কারণে কাঁচা মরিচের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এদিকে আমদানি ও সরবরাহও বন্ধ। এতে পণ্যটির দাম বেড়েছে। তবে গত কালের চেয়ে আজ কাঁচামরিচের দাম তিনভাগে নেমে এসেছে। দেশীয় কাঁচা মরিচের পাশাপাশি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি শুরু হলে দাম আরও কমবে।
সূত্রে জানা যায়, ঈদ ছুটি শেষে আজ থেকে দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি শুরু হওয়ায় ওই সব বন্দর দিয়ে কাঁচা মরিচ আসছে। এতে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে পারে। সোমবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আসা যাওয়া শুরু হবে। তবে ঈদের আগে বন্দর দিয়ে পাঁচ ট্রাকে ২৭ টন কাঁচা মরিচ আমদানি হয়। যা বন্দরে ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।