মোহাম্মাদ জুয়েল রানা, স্টাফ রিপোর্টার, নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া):
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার কাইতলা উত্তর ইউনিয়নের ব্রাহ্মণহাতা গ্রামের মৃত সামছু মিয়ার ছেলে শিল্পপতি রিপন মুন্সির বিরুদ্ধে একটি মহল চক্রান্ত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা ছাড়ানোর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে জানাযায়, হেলদি এগ্রো এন্ড ফিশারিজ নামে ৬৫টি বিঘা জমির মধ্যে ড্রাগন, মালটা, দেশীয় প্রজাতির লেবু সহ বিভিন্ন প্রজাতির কৃষি পণ্য উৎপাদন করে প্রতিদিন বাজারজাত করছেন। এছাড়াও ঝাড়ু দিঘী নামে একটি পুকুর কেটে সেখানে মাছের চাষ করার পাশাপাশি গড়ে তুলেছেন একটি মহিষের খামার।যাতে ১০০টির ও বেশী মহিষ লালনপালন করা হচ্ছে।
শিল্পপতি রিপন মুন্সির স্বপ্নের ফার্মে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ জনেরও বেশি শ্রমিক কাজ করেন। পুকুরে মাছ চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করে চাষিদের দিন বদলে গেছে। ফলে স্থানীয়দের চাহিদা মিটিয়ে উৎপাদিত সবজি পাশের উপজেলার হাট-বাজারে বিক্রি হচ্ছে। এতে নতুন সম্ভাবনার উন্মোচন হয়েছে।
হেলদি এগ্রো এন্ড ফিশারিজে কর্মরত মোঃ ইব্রাহিম মিয়া বলেন ,শিল্পপতি রিপন মুন্সি তিনি তার গ্রাম সহ উপজেলার বহু অঞ্চলের অনেক স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা উন্নয়নে মোটা অংকের অর্থ প্রদান করেন।এবং গ্রামে এ খামার করার কারণে আমরা দুই বেলা দুই মুঠো ভাত খেয়ে বাঁচতে পারছি । উনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওই গ্রামের মোঃ জহিরুল হক বলেন, এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষে গ্রামের সর্দার মাতব্বরদের সাথে পরামর্শ করে বিশৃংখলাকারীদের বিভিন্ন বৈঠকে লক্ষ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। যাতে জরিমানার ভয়ে গ্রামের কেউ দাঙ্গা হাঙ্গামা সহ খুনখারাবি না করে । তাছাড়া গ্রামের অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে প্রতিনিয়ত আর্থিক অনুদান এবং এলাকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে যাচ্ছেন শিল্পপতি রিপন মুন্সি।
কাইতলা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল ইমরান বলেন,তিনি একজন দানবীর মানুষ,গ্রাম উন্নয়নে রিপন সাহেব ব্যাপক ভূমিকা রাখছেন। বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য কয়েকটি খামার গড়ে তুলেছেন যাতে অনেকে স্বাবলম্বী হয়েছে। অসংখ্য অসহায় পরিবারের বেকার যুবকদের বিদেশে পাঠিয়েছেন তার নিজের খরচে। উনার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ একটি ষড়যন্ত্র।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুজ্জামান মনির বলেন,আমাদের কাছে রিপন মুন্সির বিরুদ্ধে জমি দখল ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের এমন কোন অভিযোগ আসেনি।
এ ব্যাপারে শিল্পপতি রিপন মুন্সী তার বিরুদ্ধে প্রচারিত সংবাদটি পুরো মিথ্যা দাবি করে তিনি বলেন, এলাকার মানুষের অনুরোধে আমি ওইখানে কিছু জমি কিনি। এবং সমন্বিত পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করি । যার ফলে এলাকায় মানুষের চাহিদা মিটিয়ে দেশের কৃষি খাতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় আমি দেশ ও দশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি ।
আজ থেকে ২০ বছর আগে দাঙ্গা হাঙ্গামা লেগে থাকত এবং গ্রামের দলাদলিতে কয়েকটি খুন হয়েছে। আমি গ্রামে যাওয়ার পর এগুলো বন্ধ হয়েছে । এখন দাঙ্গা-হাঙ্গামা হয় না, খুন হয় না। এগুলো আসলে একটি শ্রেণির সহ্য হচ্ছেনা । এছাড়া আমার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।