পলাশ কান্তি মন্ডল, ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি:
অর্থের অভাবে উচ্চ শিক্ষার জন্যে কলেজে ভর্তি হতে ব্যর্থ খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার মাগুরাঘোনা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের অসহায়,অস্বচ্ছল পরিবারের অদম্য মেধাবী ছাত্রী আম্বিয়া খাতুন এর ভর্তি ফি’র টাকা অবশেষে জোগাড় হয়েছে।
তার পরিবারের দুরাবস্থার কথা জানতে পেরে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে শেয়ার বাংলাদেশ নামক একটি বেসরকারি সমাজ উন্নয়ন সংস্থার জিইপি প্রকল্প।
আজ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরীফ আসিফ রহমান এর উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুব্রত বিশ্বাস,শেয়ার বাংলাদেশ’র জিইপি প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর সরকার রজা রুনা এবং জুনিয়র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর শামীমা সুলতানা,ছাত্রীর মা শিরিনা বেগমের উপস্থিতিতে ছাত্রীর হাতে ভর্তি ফি’র টাকা তুলে দেয়া হয়।
এ বিষয়ে ছাত্রী আম্বিয়া খাতুন বলেন,আমাদের অস্বচ্ছল পরিবারের ৪ সদস্যের মধ্যে আমার আব্বা একমাত্র আয়ক্ষম ব্যক্তি।বিগত ৩বছর যাবৎ তিনি দূর্ঘটনায় আহত হয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করে বাড়িতে বসে আছেন। যে কারণে আমার ও আমার ভাইয়ের লেখা-পড়ার খরচসহ সংসার চালানো খরচ তার পক্ষে বহন করা সম্ভব না হওয়ায় আমি এস,এস,সি পাশ করে কলেজে ভর্তি হয়েই পড়াশুনা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হই। এক পর্যায়ে আমি ঢাকার একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরি নেই। কিন্ত সেখানে সুবিধা না হওয়ায় গত বছর এইচ,এস,সি পরীক্ষার ৩ মাস আগে বাড়ি ফিরে এসে পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করি এবং জিপিএ ৫ পেয়ে পাশ করি।
কিন্তু টাকার অভাবে অনার্সে ভর্তি হতে না পেরে বাড়িতে বসে আছি। জিইপি প্রকল্পের আপারা আমাকে ডেকে এনে ভর্তি ফি বাবদ ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্যে আরো খরচ বহন করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। আমি শেয়ার বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে চির কৃতজ্ঞ হয়ে রইলাম।
এ বিষয়ে শেয়ার বাংলাদেশ’র জিইপি প্রকল্পের এরিয়া কো-অর্ডিনেটর সরকার রজা রুনা জানান,সুবিধা বঞ্চিত অস্বচ্ছল,অসহায় পরিবারের স্কুল-কলেজে পড়ুয়া অবিবাহিতা অবস্থায় মেয়েরা যাতে এইচ,এস,সি পাশ করে এবং জীবন জীবিকার লক্ষ্য পূরণে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করে দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তরিত হয়ে তাদের জীবনমান উন্নত করতে পারে জিইপি প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে তাই। তারই ধারাবাহিকতায় আম্বিয়া খাতুনকে প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে।