আরফিনুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি নীলফামারী:
রেলওয়ের প্রস্তাবিত নীলফামারী-ঢাকাগামী দিবাকালীন ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ পুনর্বহালের দাবিতে আবারও মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। মানববন্ধন শেষে চিলাহাটিগামী আন্তঃনগর ট্রেন বরেন্দ্র এক্সপ্রেস আটকিয়ে আন্দোলন করে তারা।
বৃহস্পতিবার (০১ জুন) দুপুরে নীলফামারী রেল স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একি বিষয়ে বুধবার (৩১ মে) দুপুরে শহরে চৌরাঙ্গী মোড়ে আন্দোলন করে স্থানীয়রা।
জানা যায়, রোববার (২৮ মে) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে প্রকাশিত একটি নোটিশে নীলফামারীর চিলাহাটি-ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেনের নামকরণ এবং উদ্বোধনের তারিখ ও সময় জানানো হয়। এরপর সোমবার (২৯ মে) রাজশাহী রেলওয়ের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠিতে ওই ট্রেনের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ প্রস্তাবিত উল্লেখ করা হয়। এতে আনন্দে মেতে ওঠে জেলার মানুষ।
তবে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার্থে মঙ্গলবার (৩০ মে) আট জোড়া বিশেষ ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই কর্মপরিকল্পনায় ঢাকা-চিলাহাটি রুটের নতুন ট্রেনের নাম ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ উল্লেখ করা হয়েছে। এজন্য আগের নাম ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ পুনর্বহালের দাবিতে মানববন্ধন আজ ট্রেন আটকায় আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারী আরিফা সুলতানা লাভলী বলেন, আমাদের নীলফামারীর নামে কোন কিছু নেই। এই ট্রেনটি নাম প্রস্তাব হলো, কিন্তু কেন বদলানো হলো তা আমরা জানিনা৷ তবে আমাদের প্রানের দাবী নতুন ট্রেনের নাম নীলফামারী এক্সপ্রেস করা হোক।
রাসেল আমিন স্বপন নামে আরেক আন্দোলনকারী বলেন, যখন নতুন ট্রেনের খবর প্রকাশ হয় তখন আমরা খুশি হয়েছি। ‘নীলফামারী এক্সপ্রেস’ নামকরণের ফলে আমরা আরও খুশি হই। কিন্তু গতকাল সে আনন্দ ম্লান হয়েছে। নাম পাল্টে ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ করা হয়েছে। আপনারা দেখেন লালমনিরহাট এক্সপ্রেস আছে, পঞ্চগড় এক্সপ্রেস আছে, তবে আমাদের জেলার নামে থাকলে সমস্যা কোথায়? আমাদের দাবি, আগের নামটিই বহাল থাকুক।
এছাড়াও মানব বন্ধনে নীলফামারী রেল স্টেশনে ৮০ শতাংশ আসন বরাদ্দের দাবী তুলে সিট বরাদ্দ ও নাম পুনর্বহাল না করা হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দেন বক্তারা।
এ বিষয়ে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার বলেন, রেলওয়ে থেকে পাঁচটি নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ ঠিক করে দিয়েছেন।