আনোয়ার হোসেন,গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধায় কয়েক দিনের প্রচন্ড গরমে স্বস্তি পেতে জেলা শহরসহ ৭ উপজেলার প্রত্যন্ত হাট-বাজারে বেড়েছে তাল শাঁসের চাহিদা। কেউ বলে তালশাঁস, আবার কেউ বলে তালের চোখ, কেউ বলে তালকুরা বা আশাড়ি। বিভিন্ন নামে ডাকে এ মৌসুমি ফলকে। গরম বাড়ার সাথে সাথে এর চাহিদা বেড়েছে ছোট-বড় সব ধরনের মানুষের কাছে। প্রচন্ড গরমে জেলা জুড়ে বিভিন্ন হাট-বাজার ও রাস্তার মোড় কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিস চত্বর, আদালতের সামনে ভ্যানে বা বস্তিতে পসরা সাজিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে তালের শাঁস।
বৈশাখ থেকে জৈষ্ঠ্য মাসের অর্ধেক পর্যন্ত এ দেড় মাস চলে তালের শাঁস বিক্রি। বিক্রেতারা দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এসব তালের শাঁস কিনে এনে নিজ এলাকার হাট-বাজারে বিক্রি করছেন। এ ফলটি খেতে যেমন সু-স্বাদু, তেমনি এতে রয়েছে প্রচুর পুষ্ঠিগুণ। এ জন্যই গরমে সকলের কাছে তালের শাঁস বেশ প্রিয় ও স্বস্তিদায়ক। এ কারণে বেড়েছে ক্রেতাদের বেশ চাহিদা।
জেলার গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভার চাষকপাড়া গ্রামের তালশাঁস বিক্রেতা আপেল মিয়া (৩৫) বলেন, তাল যখন কাঁচা থাকে তখন বাজারে এটা পানি তাল বা তালের শাঁস হিসেবেই বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের শাঁস আকার ভেদে ২০ থেকে ৩৫ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিটি তালের ভিতর দুই থেকে তিনটি শাঁস থাকে। পাইকারি দরে কিনে বিক্রি করে চলে তার সংসার।
সিহাব নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারের অন্য সব ফলে ফরমালিন বা কেমিক্যাল থাকলেও তালের শাঁসে কোনো ফরমালিন বা কেমিক্যাল মেশানো থাকে না। এতে শরিরের ক্লান্তিও দুর হয়।