আরফিনুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি, নীলফামারী:
আইজ জদিকালে মোর ছোয়াটাক দিলিপ না ডাকাইল হ্যায় তাইলে মোর বুকের প্রদীপ টা নিবি না গেইল হ্যায়। এলা মোর গোষ্ঠির প্রদিব কায় জালাবে ভগবান। মোরে বুকের মানিকটা কারি নিবারে নাইগবে, কারেন্ট মোর তাপসের প্রদীপ নিবি দেইল।
গতকাল এমনই আহাজারী করছিলেন,
ডিমলা ঝুনাগাছ চাপনী কলেজ পাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত তাপস কুমার রায়ের মা কবিতা রানী।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তাপস কুমার রায়(১৪) নামে এক কেবল অপারেটর শ্রমিক মারা গেছেন। রবিবার (২৮ মে) বিকেলে উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের সোনাখুলি সাতারুর চৌপথী এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃত তাপস কুমার রায় ডিমলা উপজেলার ঝুনাগাছ চাপানী ইউনিয়নের পবন রায়ের ছেলে। তারা এক ভাই এক বোন তাদের মধ্যে তাপস কুমার রায় প্রথম সন্তান। বাবা পেশায় গাড়ি চালক।
প্রতিষ্ঠান প্রধান দিলিপ রায় ও স্থানীয়রা জানান, রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সোনাখুলি সাতারুর চৌপথী এলাকায় বিদ্যুতের পিলারে ডিসি কেবল এর এমপ্লিফায়ার(নুট) লাগাতে গিয়েছিলেন দিশা কেবল নেটওয়ার্কের শ্রমিক তাপস কুমার রায়। এ সময় বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে তিনি সেখানেই লুটিয়ে পড়েন। তারে জড়িয়ে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় মহিলারা দেখার চিৎকার করতে থাকে। এসময় অন্যান্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে চাপানীরহাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে ডালিয়া পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জ মুকুল মিয়া জানান, আমি সংবাদ পাওয়া মাত্র লাইন শার্টডাউন দিয়েছি। এবং পরবর্তীতে ওই এলাকায় গিয়ে জানতে পারি ১১ কেজি লাইনের উপর দিয়ে আরজি-৬ কেবল নিয়ে যাওয়ার পথে তাপসের মৃত্যু হয়।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লাইছুর রহমান জানান, এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ দায়ের হয়নি। ঘটনাস্থলে আমার অফিসাররা অবস্থান করছেন। অভিযোগ সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।