আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব) কোচাশহর শাখার ভল্ট থেকে ১৪ লাখ টাকা লুটের ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ। ব্যাংকের নৈশ্য প্রহরী নিজেই ঘটনার সাথে জড়িত ছিলেন। তার কাছ থেকে সাড়ে ১২ লক্ষাধিক টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ মে) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার কামাল হোসেন এ সব তথ্য জানান।
এ সময় তিনি জানান, ব্যাংক শাখা কর্তৃপক্ষ প্রায়শই নৈশ্য প্রহরী জুয়েলের মাধ্যমে ভল্টের চাবি দিয়ে ভল্ট খোলা-বন্ধের কাজ
করতেন। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সন্ধ্যার দিকে ব্যাবস্থাপকসহ সকলে বাড়ি চলে যান। দু’দিন বন্ধের পর রোববার (২৮ মে) সকালে ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জেসমিন আক্তারসহ অন্যান্য স্টাফ ব্যাংকে এসে নৈশ্য প্রহরীকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় দেখতে পান। সেই সাথে ভল্ট থেকে টাকা লুটের বিষয়টি অবহত হন। এ সময় জুয়েল সম্পূর্ণ আঘাতহীন ছিলেন। ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহায়তায় বিষয়টি নিয়ে কাজ করে পুলিশ। নৈশ্য
প্রহরী জুয়েলকে ঘটনার বিষয়ে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদে সে একেক সময় একেক রকম কথাবার্তা বলতে থাকে।
এক পর্যায়ে পুলিশের কাছে জুয়েল স্বীকার করে সে তার সহযোগীদের সহায়তায় নিজের ব্যাংকের ভল্টের তালা খুলে ভল্টে রক্ষিত টাকা চুরি করেন। পরে নিজেই নিজের হাত-পা বেঁধে ডাকাতির নাটকের অবতারণা করেন।
পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ১৪ লাখ ১৮ হাজার ৬’শ টাকার মধ্যে জুয়েলের বসত বাড়ি ও কোচাশহর কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকে আসামীর শয়ন কক্ষ হতে ১২ লাখ ৬৫ হাজার ৩’শ টাকা উদ্ধার করা হয়। জুয়েল উপজেলার শ্রীপতিপুর গ্রামের মৃত সামছুল হকের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) ইবনে মিজান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার-এ সার্কেল ধ্রুব জোতির্ময় গোপ, থানার অফিসার ইনচার্জ ইজার উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম প্রমুখ।