আনোয়ার হোসেন, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ
সবে মাত্র জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু। গাইবান্ধা জেলা শহরসহ গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারের ফলের দোকান গুলোতে থরে থরে সাজানো ফলের রাজা আম। পাকা হলুদ রংগের আম দেখলেই যেকোনো মানুষ আকৃষ্ট হবে। তবে বাজারে আসা এসব লোভনীয় হলুদ আম কত টুকু স্বাস্থ্যসম্মত এমন প্রশ্ন ক্রেতা সাধারনের।
এসব আম খেলে হতে পারে ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ। আম পাকাতে ব্যবসায়ীরা ব্যাপক হারে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করেন। এর ব্যবহার মানবদেহের জন্য অত্যন্ত বিপদজনক। এটির অতিরিক্ত সেবন একজন মানুষকে ক্যান্সারের শিকার করে তুলতে পারে। এসব আম কিনে ক্রেতা সাধারণ প্রতারিত হলেও মিলছেনা প্রশাসনের নজরদারী।
চিকিৎসকদের মতে, কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে চোখে ঝাঁপসা, গা, বমি, দূর্বলতা, শ্বাসকষ্ট, মাথাব্যথা,বুক জ্বালাপোড়া, ত্বকে ক্ষত সহ নানা সমস্যা হতে পারে। দীর্ঘদিন কার্বাইড দিয়ে পাকানো আম খেলে পরিপাকতন্ত্রের ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ধীরে ধীরে কার্বাইড অন্ত্রে প্রভাব ফেলতে পারে। ক্রমাগত কার্বাইড গ্রহণের ফলে অন্ত্রে ক্যান্সার হয়। কার্বাইড লিভার ক্যান্সারও ঘটাতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাধারণত গাছপাকা আম বা গাছ থেকে আধাপাকা আম অর্ধেক সবুজ ও অর্ধেক হলুদ থাকে। আমের গায়ে সবুজ দাগ দেখা যায়। কিন্তু কার্বাইডযুক্ত আমে এমনটি হয় না। এটি সম্পূর্ণ ফ্যাকাশে হলুদ দেখা যায়। হাতে নিলে গরম অনূভব হয়। গাছ থেকে পেড়ে নেয়া আমের ক্ষেত্রে এটি হয় না। কার্বাইডযুক্ত আম চেনার উপায়, এক বালতি পানিতে আম রাখলে তা ভেসে থাকবে। স্বাভাবিকভাবেই পাকা আম ডুবে যায়। যদি এগুলি ভাসতে থাকে তবে তাতে কার্বাইড রয়েছে।