বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের মধ্যে একটি বসবাসযোগ্য দেশ। তবে তা প্রকৃতির দিক থেকে। আমাদের দেশের প্রকৃতি অন্যান্য দেশের তুলনায় বহুগুণ অনুকূল ও বাসযোগ্য। তবে রাজনৈক দিক থেকে আমরা বহু দূর পিছিয়ে। যদিও দেশে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, শিক্ষার মান বেড়েছে -তবে সুষ্ঠ ও গণতান্ত্রিখ রাজনীতির চর্চা আজও অনুপস্থিত। তা সব দলের ক্ষেত্রেই। বিশেষ কোন দল নয়।
অতীতে রাজনৈতিক ভাবে নানা হত্যাকান্ড ও নির্মম ইতিহাস আজও তার সাক্ষী বহন করছে। যা বিশ্বের কাছে আমাদের দুর্বল রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছে। সাথে সাথে পরাশক্তি দেশগুলোকে নাকগলানোর সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।
দেশের এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠন কর্তৃক কৃষকদের ধান কেটে দেওয়া এক ভিন্ন দৃষ্টান্ত। যা বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছে। আর এ থেকে হয়ত অন্য দলগুলো শিখবে এবং এভাবে মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
নেতা বা নেত্রী -তারা যত বেশি মানুষের দু:সময়ে পাশে থাকবেন, তাদের মাঝে ততো মানবতাবোধ জাগ্রত হবে। কারণ প্রতিটি ভালো কাজ মানুষকে আরো অধিক ভালো কাজের প্রেরণা যোগায়।
যখন বিশ্বজুড়ে উন্নয়নের প্রতিযোগিতা চলছে, ঠিক এ পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝেও ব্যাপক পরিবর্তন আনতে হবে। তাদের সনাতন রীতি-নীতি, আচার ও কার্যাবলির পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
যেমন- রাজনীতিকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করা , ছাত্রদের রাজনীতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা ও নানা অপকর্মে যুক্ত হওয়া এসব চিরতরে বন্ধ করতে হবে। এর স্থলে জনকল্যান, উন্নয়ন ও সুষ্ঠ রাজনীতির চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে।
বিশেষ করে নেতৃত্বে শিক্ষার প্রতি যথেষ্ঠ গুরুত্ব জরুরি। একজন মূর্খ নেতা সংসদে যাওয়া মানে গোটা জাতিকে মূর্খ হিসেবে বিশ্বের দরবারে উপস্থাপন করা। বিষয়টি রাজনৈতিক দলগুলোকে মাথায় রেখে কাজ করা অবশ্যক।
সংঘাত ও সহিংসতা ভুলে সুষ্ঠ রাজনীতির চর্চা ই আমাদের অঙ্গিকার-এ ধারণাকে সর্বস্তরে প্রয়োগ করতে হবে। তবে-ই বিশ্বের অন্যান্য উন্নত দেশগুলোর সাথে আমরা উন্নয়নের প্রতিযোগিতা অব্যাহত রাখতে সক্ষম হব। -ইমরুল কায়েস