মো: রবিউল ইসলাম: জেলা (প্রতিনিধি), লালমনিরহাট
আজ শেখ হাসিনার ৪৩ তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস
বিয়াল্লিশ বছর আগের কথা। দিনটি ছিল রবিবার। কালবৈশাখী ঝড়ো হাওয়ার বেগ ছিল ঘণ্টায় ৬৫ মাইল। প্রচণ্ড ঝড়-বৃষ্টি আর বৈরী আবহাওয়াও গতিরোধ করতে পারেনি গণতন্ত্রকামী লাখ লাখ মানুষের মিছিল। সারাদেশের গ্রাম-গঞ্জ-শহর-নগর-বন্দর থেকে অধিকার বঞ্চিত মুক্তিপাগল জনতা ছুটে এসেছিল রাজধানী ঢাকায়।
সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী লাখো কণ্ঠের স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত পুরো রাজধানী। এক নজর দেখার জন্য কুর্মিটোলা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে শেরেবাংলা নগর পর্যন্ত জনসমুদ্র। জনসমুদ্রের প্রবল জোয়ারে ভাসিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি, টানা তিনবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর প্রায় ছয় বছর নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে এসেছিলেন তিনি। আজ সেই ১৭ মে, বঙ্গবন্ধুকন্যার ঐতিহাসিক ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। আজ সেই স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ লালমনিরহাট জেলা শাখা আয়োজনে যথা সময়ে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান সহ জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, আলোচনা সভা ও বিশেষ মাহফিলের আয়োজন করেছে।
উক্ত সকল কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এড: মো: মতিয়ার রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এড. নজরুল ইসলাম রাজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আশরাফ হোসেন বাদল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: গোলাম মোস্তফা স্বপন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান, দপ্তর সম্পাদক মো: সিরাজুল হক খন্দকার রানা,জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তি যোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো: মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম রিপন, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষায়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সরোয়ার আলম, ক্রিয়া বিষয়ক সম্পাদক মোর্শেদুর রহমান রাঙ্গু, সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি প্রভাষক শফিকুল ইসলাম সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠন নেতৃবৃন্দ সহ, জনসাধারণের উপস্থিত ছিল নজরে পরার মত।