বীর মুক্তিযোদ্ধা, ঢাকা ১৭ আসনের সংসদ সদস্য, কিংবদন্তি চলচ্চিত্র শিল্পী ও মিয়াভাই খ্যাত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার প্রাপ্ত নায়ক ফারুক ( আকবর হোসেন পাঠান) আজ (১৫ই মে) সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ১০ টায় ৭৪ বয়সে রক্তসংক্রমণ রোগে দীর্ঘ ৮ বছর সিঙাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। বিষয় টি আকবর হোসেন পাঠানের ছেলে রওশন পাঠান ও ভাগ্নী ফৌজিয়া লিমা বিভিন্ন গণমাধ্যমে জানিয়েছেন।
আগামী কাল ১৬ মে মঙ্গলবার ভোরের ফ্লাইটে মরহুমের লাশ দেশে আনা হবে। আকবর হোসেন পাঠান ফারুক একাধারে মহান বীর মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্র কিংবদন্তি নায়ক, রাজনীতিবিদ, ও বিভিন্ন সংস্থার সাথে যুক্ত ছিলেন। এই কিংবদন্তি নায়কের মৃত্যুতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জনাব সাহাবুদ্দিন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সহ সর্বস্তরের মানুষ শোক প্রকাশ করছেন।
১৯৪৮ সালের ১৮ আগস্ট ঢাকায় জন্ম হয় এই কিংবদন্তি নায়কের। অত:পর ১৯৭১ এ ফারুক ও প্রয়াত সাংসদ ও নায়িকা কবরী জুটিবদ্ধ হয়ে এইচ আকবর এর পরিচালনায় ‘ জলছবি’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করেন বাংলা চলচ্চিত্রে।
১৯৭৩ এ আরেক প্রয়াত কিংবদন্তি পরিচালক ও গীতিকার খান আতাউর রহমান আতা( খান আতা) র ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ১৯৭৪ এ নারায়ণ ঘোষ মিতার ” আলোর মিছিল” চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে প্রশংসিত হন। ১৯৭৫ এ অভিনয়ের মাধ্যমে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার ও২০১৬ তে আজীবন সন্মাননালাভ করেন এই গূণী অভিনেতা।
নায়ক ফারুকের যে সকল চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সর্বমহলে প্রসংশিত হয়েছিলেন, যেমন : সারেং বৌ, লাঠিয়াল, নয়ন মনি,মিয়া ভাই, গোলাফি এখন টেনে,দিন যায় কথা থাকে, সাহেব ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তবে, মিয়া ভাই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে গ্রামীন চরিত্রের অন্যএক রূপে সর্বমহলে মিয়া ভাই হিসেবে পরিচিত পান। অভিনয় থেকে দীর্ঘ সময় নায়ক ফারুক তাঁর ব্যাবসায়ীক ও রাজনৈতিক কাজে চলচ্চিত্র থেকে বিরতি নেন।
পরবর্তীতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বিভিন্ন অনিয়ম & চলচ্চিত্রের দুর্সময় কাটিয়ে তুলতে অনেক চেষ্টা ও করেন। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ১৭ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন। -এস.এম. মাঈনুদ্দীন রিপন / বিনোদন ডেস্ক