পলাশ কান্তি মন্ডল,ডুমুরিয়া (খুলনা)প্রতিনিধি:
খুলনার ডুমুরিয়ায় বিয়ের দাবিতে এক অনার্স ভর্তি পরীক্ষার শিক্ষার্থী যুবকের বয়রাস্থ ভাড়া বাসায় গিয়ে গত ১০/০৫/২৩ ইং তারিখ রাত আনুঃ ০৯:৩০ ঘটিকায় বিনা অনুমতিতে অবস্থান করে হামলা, মামলার ভয়ভীতি, গালিগালাজ সহ জীবন নাশের হুমকি প্রদান করে এক নারী শিক্ষার্থীর স্বজনরা।
সর্বশেষ ১৩/০৫/২৩ ইং তারিখ বিকাল ০৫:০০ ঘটিকার সময় আবারও নারী শিক্ষার্থীর স্বজনেরা ঐ শিক্ষার্থীর বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় লোকজনের সম্মুখে বিভিন্ন গালিগালাজ সহ জীবননাশের হুমকি ভয়ভীতি দেয়ার ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় ছেলের বাবা তার ছেলে সহ পরিবারের সকলের জীবন বাঁচাতে গত ১৪/০৫/২৩ ইং তারিখে ডুমুরিয়া থানায় এসে নিজে বাদী হয়ে নারী শিক্ষার্থীসহ তার স্বজনদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
জিডি সূত্রে জানা যায়, ছেলে শিক্ষার্থীর বাবা বাদী মোঃ আব্দুর রব (৫০) পেশায় তিনি একজন সহকারী শিক্ষক এবং তার ছেলে অনার্স ভর্তি শিক্ষার্থী এফ এম শামসুদ্দোহা (১৯)। তিনি অত্র জেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের সাহস ইউনিয়নের গজেন্দ্রপুর গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। অপরদিকে অভিযুক্ত ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাবালিকা মোছাঃ কাজল খাতুন (১৫) তিনিও একই উপজেলার শরাফপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামের মোঃ মনিরুল ইসলামের মেয়ে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, আনুঃ ০৬ (ছয়) মাস আগে একই গাড়িতে যাওয়ার সময় এই দুই শিক্ষার্থীদের দেখা ও কথা হয়। কথার এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে মোবাইল নাম্বার লেনদেন হয়ে থাকে। অতঃপর শুরু হয় বন্ধুত্ব।
আর এই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থেকে ঘনিষ্ঠ। কোন রকম দেখা না করেই শুধুমাত্র মোবাইলে গত (৫-৬) মাস তাদের মধ্যে কথা হয়। আর এই কথা বলার ভিত্তিতে নারী শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে পাগলামি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে ব্লাকমেইল করার পাশাপাশি মোটা অংকের কাবিনের মাধ্যমে ছেলেকে বিয়ে করতে হবে এই মর্মে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে বলে জানা গেছে।
বিয়ে না হলে নারী শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করবে বলে হুমকি প্রদান করে একপর্যায়ে মোট অংকের টাকা দিলে তারা চেপে যাবে তা না হলে তাদেরকে দেখিয়ে দিবে বলে হুমকি অব্যাহত রেখেছে বলে এই মর্মে ছেলে শিক্ষার্থীর বাবা সকলের পরামর্শে গত ১৪/০৫/২৩ ইং তারিখে ডুমুরিয়া থানায় নারী শিক্ষার্থীর হুমকিদাতা স্বজনদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করেন।
যাহার জিডি নং -৭২১। উক্ত জিডিতে উল্লেখিত বিবাদীর মধ্যে (০১) খুশি বেগম (৪৫) স্বামী মোঃ মনিরুল ইসলাম শেখ, (০২) হীরা বেগম (৩৫) স্বামী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, (০৩) মোছাঃ রুপা বেগম (৩২), পিতা মোঃ লুৎফর রহমান শেখের নাম ও রয়েছে। বাদী জানান, আমার ছেলে ঐ লোভী নারীর সাথে আর কথা বলবে না সে তার ভুল বুঝতে পেরেছে। আর ঐ মেয়ে যদি কোন পাগলামি করে তবে তার জন্য আমরা কোন রকম দায়ী থাকবো না। ভবিষ্যতে মেয়ের পরিবারের স্বজনেরা যদি এই ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনী সহায়তা গ্রহণ করবেন বলেও জানান।
অপরপক্ষে ঐ নারী শিক্ষার্থী মোছাঃ কাজল খাতুনের সাথে কথা বললে তিনি মুঠোফোনে বলেন, “হ্যা আমি কাজল রিলেশন ছিল, মোবাইলে কথা বলতাম আর কি? আমি এগুলো বিষয় নিয়ে আর বাড়াতে চাইনা”। এ বিষয়ে ডুমুরিয়া থানার সুযোগ্য ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া (বিপিএম) উক্ত জিডির ঘটনায় তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান।