আরফিনুল ইসলাম, জেলা প্রতিনিধি – নীলফামারী
নীলফামারীর ডোমারে হোটেলের পাওনা টাকা চাইতে গেলে সজীব হোটেলের প্রোপাইটর মনোয়ার হোসেনকে মারধর করেছে কেতকীবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লাবু হাসান ও তার সহযোগী আব্দুল হাকিম এবং লিজু ইসলাম। এ ঘটনায় মনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে লাবুসহ আরও ২ জনের নাম উল্লেখ করে ডোমার থানার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, কেতকীবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ কেতকীবাড়ী খালপাড়া এলাকার আব্দুর রউফ এর পুত্র মনোয়ার হোসেন। তিনি পেশায় একজন হোটেল ব্যবসায়ী তার হোটেলে বিভিন্ন সময় লাবু ও তার সহযোগীদের নিয়ে চা নাস্তা খেয়ে এবং হোটেলের অন্যান্য মালামাল বাঁকিতে ক্রয় করে নিয়ে যায়, এতে লাবুর কাছে পাওনা টাকার পরিমান দ্বাড়ায় সাড়ে সাত হাজার টাকা। সেই টাকা তার কাছে চাইতে গেলে লাবু বিভিন্ন ভাবে কালক্ষেপন করে আজ দেব কাল দেব বলে টালবাহানা করতে থাকে।
ঘটনার দিন, বুধবার (০৩ মে) সকাল ১০টায় মনোয়ারের দোকানের সামনে লাবুসহ তার সহযোগীরা এলে তার কাছে দোকানের পাওনাকৃত টাকা চাইতে গেলে লাবু মনোয়ারের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে সেখান থেকে চলে যায়। সেই ঘটনার জের ধরে ওইদিন সন্ধ্যায় বোর্ড বাজারস্ত আব্দুল মালেকের পান সুপারির দোকানের সামনে মনোয়ারকে দেখতে পেয়ে পুনরায় গালিগালাজ করে ছাত্রলীগ নেতা লাবু ও মনোয়ার। এসময়, মনোয়ার লাবুর গালিগালাজের প্রতিবাদ করলে লাবুসহ তার সহযোগী আব্দুল হাকিম এবং লিজু ক্ষিপ্ত হয়ে মনোয়ার কে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি ও লাথি মেরে জখম করে। এক পর্যায়ে লাবু মনোয়ারের পরিহিত গেঞ্জির পকেটে থাকা ব্যবসার ২৮ হাজার টাকা জোরপূর্বক কেড়ে নেয়। পরে, মনোয়ারের আত্নচিৎকারে এলাকার লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়, বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সে।
অভিযোগের ব্যাপারে প্রত্যক্ষদর্শী হুসেন আলী এবং সাবু ইসলাম বলেন, মনোয়ার লাবুর কাছে সাড়ে সাত হাজার টাকা পায়, সেই টাকা চাইতে গেলে লাবু মনোয়ারকে মারধর করে। মনোয়ার বর্তমানে বোড়াগাড়ী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
অপর প্রত্যক্ষদর্শী আব্দুল মজিদ জানায়, আমার দোকানে মনোয়ার আসলো, কিছুক্ষণ পর দেখি তাকে মারধর শুরু করেছে লাবু এবং তার সহযোগীরা।
এবিষয়ে মুঠোফোনে কেতকীবাড়ী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লাবু হাসানের সাথে কথা হলে তিনি মনোয়ারকে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, মনোয়ার আমার দোকানে হামলা করে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল, আমি তাকে ধরে ১ লক্ষ টাকা পেয়েছি। এ সময়, মনোয়ারের দোকানের পাওনা সাড়ে সাত হাজার টাকার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে ডোমার থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহমুদ উন-নবী বলেন, অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।