জোবায়ের সোহাগ, প্রতিনিধি শ্রীবরদী(শেরপুর):
ভারতীয় পুলিশ মনির হোসেন (৪৫) নামের এক বাংলাদেশী যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
৪ এপ্রিল দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী নাকুগাও স্থল বন্দরে এ মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। মনির হোসেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকার পশ্চিম খারামুড়া গ্রামের মুনসের আলী মোছেরের ছেলে।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশ অংশের শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) রায়হানা ইয়াসমিন, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ভারতীয় অংশে মেঘালয় রাজ্যের তোরা জেলার ডালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীন বন্ধু বর্মন উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে মনির হোসেনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান পরিবারের পক্ষে মনির হোসেনের মরদেহ গ্রহণ করেন। মনির হোসেন গত ১ মে শ্রীবরদীর খাড়ামুড়া সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে গেলে নিখোঁজ হয়। সে সময় অসমর্থিত খবর পাওয়া যায় বিএসএফ তাকে ধরে নিয়ে গেছে। তবে বিএসএফ শুরু থেকেই তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে।
এদিকে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির সপরিবারে ঢাকায় থাকতো। সে রাজমিস্ত্রির কাজ এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করতো। এবার ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে। এদিকে গত পহেলা মে রাত থেকে মনির নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পারে মনিরের লাশ ভারতের একটি হাসপাতালে আছে।
এব্যাপারে শ্রীবরদি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত মনিরের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর তার মরদেহ শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কি কারনে মনিরের মৃত্যু হয়েছে সেটা জানা যাবে।
এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান জানান, মনির আহত অবস্থায় ভারতের ঢালু প্রদেশে একটি স্থানে পরেছিল। পরে খবর পেয়ে পহেলা মে রাতে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ঢালু থানা পুলিশ। এরপর ২ মে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। এদিকে মনির মৃত্যুর আগে তার নাম ঠিকানা বলে যাওয়ায় আমরা তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানাতে পারি। তবে সে কি কারনে মারা গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি এছাড়া এবিষয়ে ভারতের ঢালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।