ওয়াহিদুর রহমান, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ):-
সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ব্ন্দুকের গুলিতে একজন নিহত ও পাঁচজন গুলিবিদ্ধের ঘটনায় চেয়ারম্যান সহ পাঁচজনকে আসামী করে জগন্নাথপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়ছে।
১ (মে) সোমবার ব্ন্দুকের গুলিতে নিহত সৈয়দ জামাল মিয়া (৩৮) এর ভাই সৈয়দ হোসাইন মিয়া বাদী হয়ে সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হাসানসহ আরো পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
প্রসঙ্গতঃ দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের সৈয়দপুর (ঈশানকোণা)গ্রামের সৈয়দ আলমগীর মিয়া ও একই গ্রামের সৈয়দ হোসাইন আহমেদের মাঝে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে
২৮ (এপ্রিল)শুক্রবার রাতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাক-বিতন্ডা হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের লোকজন বন্দুক সহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
সংঘর্ষ চলাকালীন সময়ে বন্দুকের গুলিসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের আঘাতে উভয় পক্ষের প্রায় ৮ জন আহত হয়। আহতদের জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ সৈয়দ জামাল মিয়া (৩৮),সৈয়দ গফর আহমদ(শিপু মিয়া-২৮),সৈয়দ সেলু মিয়া(৫৫), সৈয়দ হোসাইন মিয়া(৩০) , সৈয়দ আনহার মিয়া (৬০) ও সৈয়দ আমিন মিয়া (৬৬)সহ ৬ জনের অবস্হা আশঙ্কাজনক থাকায় তাৎক্ষণিক ভাবে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করেন।এ-সময় সিলেট যাওয়ার বেলা পথিমধ্যে সৈয়দ আনহার মিয়ার পুত্র সৈয়দ জামাল মিয়া (৩৮) মৃত্যুবরণ করে।
খবর পেয়ে জগন্নাথপুর ও শান্তিগঞ্জ(সার্কেল) সহকারী পুলিশ সুপার শুভাশীষ ধর ও জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।এবং বর্তমানে এলাকায় শান্ত পরিবেশ বিরাজ করছে।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জগন্নাথপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান জানান, আসামীরা আত্মগোপন করেছে। অপরাধীদের গ্রেফতার করতে কয়েকটি টিম তৎপরভাবে কাজ করছে।