এম জালাল উদ্দীন, পাইকগাছা(খুলনা), প্রতিনিধি:
খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী চাঁদখালী ইউনিয়নের প্রাণকেন্দ্র চাঁদখালী বাজারে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছ কেনাবেচা করছে খুচরা মাছ ব্যবসায়ীরা।
রবিবার সকাল ১০টায় সরজমিনে গেলে দেখা যায় বাজারের ভিতরে খুচরা মাছ বিক্রি করার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয়ে সরকার কর্তৃক নির্মিত খুব সুন্দর ও পরিপাটি মাছ বিক্রয়ের স্থান (চাননি) রয়েছে, যা কিনা খুচরা হাতে কেটে মাছ বিক্রয় করার আদর্শ জায়গা। কিন্তু কোন এক অজানা কারণে ব্যবসায়ীরা সেখানে(চান্নিতে)মাছ বিক্রয় না করে বাজারের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে মাছ কেনাবেচা করছে এবং জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রাস্তার উপরে মাছ বিক্রয় করছে বলে দেখা যায়। যা রীতিমতো নিয়ম বহির্ভূত- ফলে একদিকে যেমন বাজারের স্বাভাবিক পরিবেশে নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাজারে কেনা-কাটা করতে আসা মানুষগুলো। পাশাপাশি বাজারের মধ্যে অনেকের বাসা বাড়ি হওয়ায় তারাও রয়েছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি ও দুর্গন্ধের চরম ভোগান্তিতে। এ অবস্থায় ভুক্তভোগীদের দাবি দ্রুত এ সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে উক্ত ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাওয়া।
এ বিষয়ে বাজার সংলগ্ন বাড়ি ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ করিম মোড়ল বলেন, আমরা খুব বিরক্তিকর অবস্থা ও স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি । আমরা দ্রুত এটার নিষ্পত্তি চাই। মাছ বাজার বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সচিব এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে এভাবে মাছ বিক্রি করার কোন পারমিশন দেই নাই। যেহেতু সরকার কর্তৃক নির্মিত মাছের চাননি রয়েছে। ইউপি সদস্য মোঃ কাইয়ুম গাজী বলেন, আমি অত্র ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার অথচ আমি জানিনা, সুতরাং এমন নিয়ম বহির্ভূত কাজ কে বা কাহাদের ইন্দনে মাছ ব্যবসায়ীরা করছে আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
উপরে উল্লেখিত বিষয়ে অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহাজাদা মোঃ আমি ইলিয়াস এর কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমার পরিষদ থেকে এ বিষয়ে কোন পারমিশন দেওয়া হয় নাই এবং আমার ইউনিয়নের সাধারণ জনগণের ভোগান্তিমূলক কোন কাজের সমর্থন আমি কখনো করিনা, আমরা মাছ বাজারের বিষয়টি ইউএনও সাহেবের মাধ্যমে দ্রুত নিষ্পত্তি হবে বলে আশা করছি।
উপরে উল্লেখিত মাছ বাজার সংক্রান্ত বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম এর কাছে জানতে চাইলে উপজেলা প্রশাসনের এ অফিসার বলেন, বাজার ইজারাদারদের অলরেডি চিঠি করে দেয়া হয়েছে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয়েছে তিন কার্যদিবসের মধ্যে। অন্যথায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে প্রশাসনের এ অফিসার জানান।