মো: রবিউল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি,লালমনিরহাট:
লালমনিরহাটে মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও আঃ সোবাহান (৬৫) বীর মুক্তিযোদ্ধা সেজে সাধারণ মানুষকে হয়রানীর ফাঁদে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রকৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ভাঙ্গিয়ে মারপিট, নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার, জোর জুলুম ও একাধিক মামলার আসামী, মাদকাসক্ত ছেলে মাদক ব্যবসায় সহযোগী করায় সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মহেন্দ্রগর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা গ্রামের মৃত: মহুরুল্লাহ’র ছেলে আঃ সোবাহান অমুক্তিযোদ্ধা হয়ে নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিয়ে এলাকার নিরীহ সাধারণ মানুষের উপর অন্যায়, অত্যাচার, জোর, জুলুম করছেন। এবং তার ছেলে একাধিক মামলার আসামী রাজু একজন মাদকাসক্ত, মাদক ব্যবসায়ী, নেশার টাকা সংগ্রহে বাসাবাড়িতে চুরি করছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় (১০ এপ্রিল) রাতে একই ইউনিয়নের পশ্চিম হাড়িভাঙ্গা গ্রামের মৃত: নকিবুল্লাহ’র ছেলে এসাহাক আলী (৬০) বাড়ির ৭টি সুপারি গাছের সুপারি চুরি করে অমুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবাহানের ছেলে রাজু (৩৯)। (১১ এপ্রিল) প্রমান সহকারে চুরির বিষয়ে অমুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবাহানকে সকালে বাড়িতে জানাতে গেলে তিনি এসাহাক আলীর উপর চড়াও হয়ে হুমকি ধমকি দেন।
এ ঘটনার জেরে আঃ সোবাহান গং এর রাজু এবং ওই এলাকার মোহাম্মদ আলী, বাবু, লেমন ও ওয়ারলেছ কলোনীর আতর আলী সহ আরো অজ্ঞাত ৬/৭ জন দলবেঁধে একই দিনে রাত ১১টায় লোহার রড, ধারালো ছুরি, বাঁশের লাঠি নিয়ে বসত বাড়ীর আসবাবপত্র ভাংচুর সহ ঘরের সুকেচের ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে এসাহাক আলীকে মারপিট করেন।
এ ঘটনায় এসাহাক আলী বাদী হয়ে অমুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবাহান গং এর ৭ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অমুক্তিযোদ্ধা আঃ সোবাহান বলেন, আমি অমুক্তিযোদ্ধা নই। আমি মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার সব কাগজ-পত্র আছে। শুধু মাত্র সরকারি স্বীকৃতি পাইনি। আমার ছেলে রাজু আগে মাদকাশক্ত ছিল এখন অনেক ভাল হয়েছে। এলাকার কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে অহেতুক ষড়যন্ত্র করছেন।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।