আগৈলঝাড়া(বরিশাল)প্রতিনিধিঃ
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কন্যা সন্তান জম্ম হওয়ায় মা নিজেই ওই নবজাতক কন্যা সন্তানকে গলায় রশি পেচিয়ে হত্যা করার অভিযোগ
পাওয়া গেছে। এঘটনায় ওই মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। থানা ও স্থানীয়
একাধিক সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের পূর্বপয়সা গ্রামের মিলন বখতিয়ার বিয়ের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে ৪ বছরের মারুফা ও দেড় বছরের সোহানা নামে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মিলনের স্ত্রী রুমা খানম পুনরায় তৃতীয় কন্যা সন্তানের জম্ম দেয়। কন্যা সন্তান জম্মের দুই ঘন্টা পর ওই কন্যা সন্তানের গলায় রশি পেচিয়ে হত্যা করে ফেলে রাখে মা রুমা বেগম নিজেই। এসময় প্রতিবেশী সাদিয়া বেগম রুমার সদ্য ভুমিষ্ট হওয়া কন্যা সন্তান দেখতে আসলে সন্তান অচেতন অবস্থায় দেখতে পেলে মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ পায়।
এঘটনা জানাজানির এক পর্যায় আগৈলঝাড়া থানার ওসি(তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌছে জিজ্ঞাসার এক পর্যায় মা রুমা বেগম নিজেই কন্যা সন্তানকে হত্যা করেছে বলে স্বীকার করেন। কারন হিসেবে রুমা বেগম জানান, পূর্বে দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সদ্যভুমিষ্ট হওয়া সন্তান কন্যা হওয়ায় ক্ষোভে-দুঃখে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এসময় পুলিশ মা রুমা বেগমকে গ্রেফতার করে ও মৃত. কন্যা সন্তানের লাশ থানায় নিয়ে আসেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আল বেরুনী ও থানার ওসি মো. গোলাম ছরোয়ারা ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেন। এঘটনায় মিলন বখতিয়ার বাদী হয়ে স্ত্রীকে আসামী করে আগৈলঝাড়া থানায় মামলা দায়ের করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে লাশ পোষ্ট মর্ডের জন্য বরিশাল মর্গে ও আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। কন্যা সন্তান জম্ম হওয়ার সময় পাশ্ববর্তী বাড়ির ধাত্রী ঝর্না বেগম (জডু) জানান, ফজরের আযানের ১০মি. পূর্বে রুমা খানমের একটি কন্যা সন্তান ভুমিষ্ট হয়।
ভুমিষ্টের পরে সন্তান কান্নাকাটি করলে তাকে পানি খাওয়ানো হয়। কন্যা সন্তানটি সুস্থ রেখে আমি বাড়ি চলে আসি। এরপরে তার মৃত্যুর সংবাদ জানতে পারি। এব্যাপারে থানার ওসি(তদন্ত) মাজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাশুনে পূর্ব পয়সা গ্রামে গিয়ে সদ্যভুমিষ্ট কন্যা সন্তানের লাশ উদ্ধার করি। অভিযুক্ত মাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসি। রুমার স্বামী মিলন বখতিয়ার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করলে রুমাকে বরিশাল জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।