অমরঞ্জন মজুমদার, স্টাফ রিপোর্টার:
পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেল সাথে বরিশালের ঐতিহ্যবাহী বিলাশবহুল ঢাকাগমী লঞ্চ -এসব আমাদের জীবন যাত্রার মানকে স্বপ্নের ছোয়া দিয়েছে।
তথ্যপ্রযুক্তি ও উন্নয়নের এ যুগেও ভালো নেই পটুয়াখালীর বিভিন্ন রুটের ঢাকাগামী লঞ্চযাত্রীরা।
লং রুট হওয়া স্বত্বেও জামাল কর্তৃপক্ষের পুরোনো ও ফিটনেস বিহীন লঞ্চের যাতায়াত নিয়মিত। যান্ত্রিকত্রুটির কারণে মাঝ পথে লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়া সহ নানা অফিযোগ নিত্য দিনের। সাথে সাথে যাত্রীদের সেবার মান নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই।
লঞ্চগুলোতে রাতভর চলে টাস ও জুয়া খেলা। সাথে সাথে যেখানে সেখানে বিড়ি সিগারেট যাত্রীদের জন্য এক নিত্য ভোগান্তি।
লঞ্চে অবস্থানরত লঞ্চ স্টাফ ও আনসাররা যাত্রীসেবার পরিবর্তে ব্যস্ত থাকেন কেবিন ও সিট বানিজ্য নিয়ে। সাধারণ যাত্রীদের জন্য নির্দিষ্ট ডেকে বিছানা করে দখল করে রাখে তারা। তা আবার চওড়া মূল্যে অসহায় যাত্রীদের কাছে ভাড়া দেয়া হয়।
নেই যাত্রীদের বিবরণী অথবা রেকর্ড। ফলে কোনো দুর্ঘটার কবলে পড়লে খুব সহজেই পার পেয়ে যান লঞ্চ কতৃপক্ষ।
এছাড়াও যাত্রী বহনে নেই কোনো নিয়ম-নীতি। পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চের ধারণ ক্ষমতার বাইরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী তোলা হয়। এ যেন এক চিরচেনা ঘটনা। এভাবেই অনিরাপদ ও মৃত্যুর ঝুঁকি মাথায় রেখে সারা রাত নদীর পর নদী পাড়ি দেয় লঞ্চগুলো।
এ ভোগান্তি থেকে কখন মুক্তি মিলবে পটুয়াখালীর বিভিন্ন রুটের ঢাকাগামী যাত্রীদের- এ প্রশ্নের উত্তর আজও অজানা। তবে নৌ পরিবহন কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের যথাযথ নজরদারি ও দায়িত্বশীলতার মাধ্যমে এ অবস্থার পরিবর্তন হতে পরে বলে মনে করছেন যাত্রী সাধারণ।