সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের প্রভাব দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট। অধিকাংশ সন্তানরাই বাবা-মায়ের স্বভাবে গড়ে ওঠে। তবে কিছুটা ব্যতিক্রমও রয়েছে। আর ব্যতিক্রম কোনো কিছুই দৃষ্টান্ত হতে পারে না।
সমাজে দেখা যায়, কিছু পরিবারের সন্তানরা ভালো পড়াশুনা করছেন, বড়দের শ্রদ্ধা ও ছোটদের স্নেহ করছেন। আবার এর ব্যতিক্রমও দেখা যায়। যেমন- সমাজের একাংশ শিশুরা নানা অপকর্মের সাথে জড়িয়ে পড়ে। সমাজে নানা অপ্রিতিকর ঘটনায় তাদের ভূমিকা থাকে।
এসবের পেছনে রয়েছে বাবা-মায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সন্তানদের প্রতি বাবা-মায়ের যথাযথ দায়িত্বশীলতার কারণে সন্তানরা প্রতিষ্ঠিত হয়, তেমনি দায়িত্বশীলতার অভাবে সন্তানরা বিপথে চলে যায়।
সন্তানদের প্রতি বাবা মায়ের ইতিবাচক আচরণ সন্তানদের মানুষিক ভাবে বিকশিত করে। যেমন-তুমি খুব বড় হবে; তুমি পড়াশুনা কর, তবে ডাক্তার হতে পারবে; তুমি ফাইলট হবে ইত্যাদি।
এসব উৎসাহ থেকে সন্তানদের মাঝে এক ধরণের শক্তি সঞ্চিত হয়। যা তাদেরকে সফল ও প্রতিষ্ঠিত হতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, সন্তানরা ভালো পড়াশুনো না করলে অথবা কোনো বিষয় না বুঝতে পাড়লে বাবা-মা খুব খারাপ আচরণ করেন। এতে সন্তানরা নিরুৎসাহিত হয়। সন্তানদের মন ভেঙ্গে যায়।
এ ধরণের পরিস্থিতিতে সন্তানকে অবশ্যই সাহস যোগাতে হবে। যেমন-বাবা, তুমি অবশ্যই পাড়বে। মন খারাপের কিছু নেই। বার বার চেস্টা কর। অবশ্যই তুমি পাড়বে।
এছাড়া সন্তানদের বিভিন্ন সফল মনিষীদের গল্প শুনানো। যাতে তারা উৎসাহিত হয়। মূলত উৎসাহ ই সকল কর্মের শক্তি। উৎসাহ হারালে কোনো কিছুই সম্ভব নয়।-ইমরুল কায়েস