মোঃ শরীফুল ইসলাম, যশোর জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরে উত্তরা প্রাইভেট হাসপাতালে এক প্রসূতি মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। গত শনিবার ২৫শে মার্চ সকাল ১০টায় সিজারের মাধ্যমে যশোরের রূপদিয়ার চাউলিয়া গেট এলাকার হরিদাস পালের কন্যা সন্ধ্যা রানী (২৪) একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেন। বাপের বাড়ি যশোরে হওয়ায় তাকে যশোরের জেল রোড ঘোপ এলাকার উত্তরা প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করে ।
তার ৪ বছরের ছেলে পরশ ও স্বামী প্রীতমকে নিয়ে খুলনা নিউ মার্কেট এলাকায় বসবাস করতেন। স্বজনদের অভিযোগ একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে শনিবার ২৫শে মার্চ দিনগত রাত সাড়ে দশটার সময় তার মৃত্যু হয়েছে।
সদ্য জন্ম নেয়া কন্যাটি সুস্থ আছে। যশোরের জেল রোড, ঘোপ-এ ঘটনাটি ঘটে,ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার কারণে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃত্যুর স্বামী ও স্বজনরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যুর পরিবারের সদস্যদের ম্যনেজ করতে উঠেপড়ে লেগেছে।
হাসপাতাল কতৃপক্ষ সন্ধ্যা রানীর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয়েছে বলে জানান। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ- ডাক্তার ও নার্সদের অবহেলার কারণে এধরনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, এর দ্বায় কে নেবে? সিজার করার পর রোগীর অবস্থা খারাপ হলে, যশোর ২৫০ শয্যা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেননি কেন? এছাড়া সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দায়িত্বরত চিকিৎসক বলেন, “আমি রোগীর জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি।”
এখন প্রশ্ন হচ্ছে ডাক্তার ও নার্সদের এই অবহেলায় মৃত্যুর দ্বায় কে নেবে,নাকি এভাবে চোখের সামনে মৃত্যুকে মেনে নিতে হবে। একটি সদ্য জন্মনিয়া শিশু হারাচ্ছে তার জন্মদাতা মাকে, একজন স্বামী হারাচ্ছে তার স্ত্রীকে, পিতা মাতা হারাচ্ছে তার সন্তানকে। এভাবে প্রতিদিন যোগ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলের লম্বা লাইন।