রবিউল ইসলাম:
যশোরের শার্শায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও শার্শার গণমানুষের নেতা নাজমুল হাসানের দিকনির্দেশনা মোতাবেক আলোচনা সভা, বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠান ও কেক কেটে দিনটি উদযাপন করেন শার্শা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
শুক্রবার (১৭ই মার্চ)সন্ধ্যায় শার্শা বাজারস্থ আওয়ামী লীগ অস্থায়ী কার্যালয়ে দিনটি উদযাপন করা হয়।
এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শার্শা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সরদার শাহরিন আলম বাদল,নাভারণ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও শার্শা উপজেলা যুবলীগের সদস্য ফেরদ্দৌস চৌধুরী,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগে যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী বাবলু মিয়া,শার্শা উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি অহিদুজ্জামান অহেদ, যুবলীগ নেতা কাজী সুজন, শামিনুর রহমান, আয়নাল হক, মফিজুর রহমান, কমিরুজ্জামান কবির, আলী কদর,ছাত্রলীগ নেতা ডিকুল হোসেন,মোঃ সানি সহ শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগ, যুবলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মৎস্যজীবী লীগ, ছাত্রলীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠন নেতৃবৃন্দ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীরা বলেন,শেখ মুজিব শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস, একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামী চেতনা। স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আজকের এইদিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের প্রতিটি অধ্যায়ে বঙ্গবন্ধুর নাম চির ভাস্বর হয়ে আছে। ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন রেসর্কোর্স ময়দানে তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করেন- ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’সেই বজ্রকণ্ঠের আওয়াজ বাংলার মানুষের মনে স্বাধীনতার দামামা বাজিয়ে তোলে।যা পাকিস্তানি শোষকগোষ্ঠীও টের পায়, তারা বুঝতে পারে এই জাতিকে আর দাবায়ে রাখা সম্ভব না তাই ২৫ মার্চ কালরাতে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ শুরু করে তাঁরা। ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তার নেতৃত্বেই বাঙালি ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত হয় গৌরবের স্বাধীনতা।
সেই মহান নেতারা প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রতি বছর রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় ‘জাতীয় শিশু দিবস’ হিসেবে দিনটি উৎযাপন করা হয়।