রবিউল ইসলাম,বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা ইউনিয়নের আমলায় গ্রামে পারিবারিক জমি জায়গা সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মৃত আবু তালেবের ছেলে মালেশিয়া প্রবাসী ওম্বর আলীর মা ও স্ত্রীসহ তার পরিবার কে গৃহবন্দী করে হামলা সহ বিভিন্ন প্রকার নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া যায়। আর এ হামলা ও নির্যাতন করেছে তার প্রতিবেশি চাচা মফিজুর ও তার পুত্ররা।
রবিবার (১২ই মার্চ) দুপুরে উপজেলার আমলায় গ্রামে হামলা সহ নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। শার্শা থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আমলা গ্রামে মৃত আবু তালেবের ছেলে মালেশিয়া প্রবাসী মোঃ ওম্বর আলীর মা ও স্ত্রী অনেক দিন যাবত তার প্রতিবেশী চাচা মোঃ মফিজুর এবং তার ছেলে আশা ও রনি এর অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। ওমর মালয়েশিয়া থাকার কারনে তার ঘরের দরজার সামনে নেট দ্বারা বেড়া দিয়ে চলার পথ বন্ধ করে তার মা ও স্ত্রী কে গৃহবন্দী করে রেখেছে। যা এলাকার মেম্বারসহ বিভিন্ন মহলে বিচার চেয়েও কোন সূরাহা পাচ্ছে না প্রবাসীর পরিবারটি।
অভিযোগকারী তাহমিনা বেগম (৩২) জানান, আমার স্বামী একজন মালয়েশিয়া প্রবাসী। আমার শশুর মৃত আবু তালেবের পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সম্পাদে আমার শাশুড়ী ও দুই কন্যা সন্তান নিয়ে বসত বাড়ীতে বসবাস করে আসছি। বিবাদীগণ আমার চাচা শশুর পাশাপাশি বাড়ি তাদের সাথে আমাদের দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ। জমি জায়গা আমার দাদা শশুরের নামে রেকর্ড থাকায় তারা আমার শশুরের সম্পত্তি জবর দখলের পায়তারা করে আসিতেছে। ঘটনার দিন আমি আমার অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে হসপিটালে থাকায় সকল বিবাদীগণ আমার বসতঘরের গেটের সামনে নেটের বেড়া দিয়ে চলার পথ বন্ধ করে দেয়। আমি বাসায় ফিরে আমার অসুস্থ মেয়েকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করার জন্য আমার শাশুড়ী নেট নিচু করলে তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে করতে দেশিয় অস্ত্র নিয়ে আমার ঘরে ঢুকে আমাকে জখম ও মারপিট সহ শ্লিলতাহানির চেষ্টা করে।
মারপিটের এক পর্যায়ে আমার মেয়ে কে দেখতে আশা আমার বোন জামাই মনিরুল বাঁধা দিলে তাকেও মারপিট করে গুরুতর জখম করে। পরে আমার ভাই ও প্রতিবেশিরা এসে আমার বোন জামাই মনিরুল কে উদ্ধার করে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন বর্তমান সে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও আমাকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়।
ওমরের মা জানান, এই জমি জায়গায় সব আমর শশুরের আমরা স্বামী বেঁচে থাকতে এই জমি ভাগাভাগি করে ঘরবাড়ি বেঁধে রেখে গেছেন। পরবর্তীতে আমার ননদ এর অংশের তিন কাঠা জমি মধ্যে দুই কাঠা বিক্রয় করে এবং এক কাঠা জমি সকল ভাইদের কে দিয়ে যায়। এখন সেই এক কাঠা জমি এই জমির সাথে মিলিত করে ভাগ করে আমার ভাগের জমির দখল করার জন্য আমার ঘরের গেটের সামনে নেট দ্বারা বেড়া দিয়ে আমাদের কে গৃহবন্দী করে রাখছে। আমার নাতনি অসুস্থ থাকায় নেট নিচু করে চলাচল করতে গেলে আমার দেবর সহ তার ছেলেরা মিলে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, বিবাদীরা দীর্ঘদিন যাবত প্রবাসী পরিবার টির উপর অত্যাচার করে আসছে। আমি এর আগে তিন বার মিমাংসা করছি কন্তু কিছু দিন যেতে না যেতেই তারা আবারও পরিবার টির উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার শুরু করেছে। তারই ধারাবাহিকতাই গতকাল তাদের উপরে আবারও হামলা করছে বলে আমি শুনেছি।
শার্শা থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আকিকুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।